নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:২৪ পিএম
টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বে ১৩ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্বে সাতজন এবং দ্বিতীয় পর্বে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গতরাতে ইজতেমা ময়দানে আসা আবু তাহের নামে ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে ইজতেমা ময়দানে মারা যান কিশোরগঞ্জের সৈয়দ আলীর ছেলে আবু তাহের।
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আবু তাহের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিতে কিশোরগঞ্জ থেকে আসেন। শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা যান।
এর আগে বৃহস্পতি (১৯ জানুয়ারি) ও শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাতে অসুস্থ হয়ে পাঁচ মুসল্লির মৃত্যু হয়। তারা হলেন- ঢাকার কদমতলী থানার পূর্ব জুরাইন এলাকায় মুসল্লি আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল হান্নান, রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবাজার এলাকার ব্যবসায়ী বোরহান, গাইবান্ধার শুকুর মণ্ডলের ছেলে আব্দুল হামিদ মণ্ডল, ঢাকার সাভারের বাসিন্দা আব্দুল আলীমের ছেলে মফিজুল ইসলাম এবং বরগুনার আবদুল আলী রানার ছেলে মফিজুল ইসলাম।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা ইজতেমার প্রথম পর্বে মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছিল।
প্রথম পর্বে মারা যান মুসল্লিরা হলেন সিলেটের জৈন্তাপুর থানার হেমুবটপাড়া এলাকার মো. ফজলুল হকের ছেলে মো. নুরুল হক, গাজীপুর শহরের ভুরুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আবু তৈয়ব ওরফে আবু তালেব, ঢাকার যাত্রবাড়ী থানার উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. আক্কাস আলী, ঢাকার বংশালের কাজী আলাউদ্দিন রোড়ের বাসিন্দা ছমির উদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমান, খুলনার ডুমুরিয়া থানার মলমলিয়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন, চট্টগ্রামের রাউজান সদরের আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক এবং নরসিংদীর মনোহরদী থানার মাছিমপুর এলাকার রহমতুল্লাহর ছেলে মো. হাবিবুর রহমান। তাদের বেশিরভাগই বার্ধক্যজনিতে রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এমআর