images

জাতীয়

পঞ্চম দিনে মেট্রোরেলে ছিল না ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

০২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:০৫ পিএম

মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক যাত্রী পরিবহনের পঞ্চম দিনে ভিড় ছিল না যাত্রীদের। যাত্রা শুরুর পর থেকে দূর দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষের ভিড় করেন উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশনে। যদিও আজ যাত্রী কম থাকায় ফাঁকা অবস্থায় চলাচল করেছে মেট্রোরেল কোচগুলো।

সোমবার (২ জানুয়ারি) আগারগাঁও স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। 

যদিও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে ওড়ানো ফানুস বৈদ্যুতিক তারে পড়ে গতকাল রোববার দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ওই সময়ে অনেকেই স্বপ্নের মেট্রোতে চড়তে আসলেও পারেননি। ‘ট্রেন বন্ধ’ এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়েছিল জনমনে। যার প্রভাব কাটেনি এখনও।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বর্ষবরণ ঘিরে ফানুসে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এ নিয়ে একপ্রকার নেতিবাচক চিন্তা ‘ট্রেন বন্ধ’ জনমনে তৈরি হয়েছে। এছাড়ও চালু হওয়ার পর থেকে অনেকেই প্রথম এসে চড়েছেন। শখের বসে এসেছেন। তাই প্রথম দিন গুলোতে যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। ক্রমাগত যাত্রীর কমছে।

metro

এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট উপ প্রকল্প পরিচালক (লাইন-৬ অতিরিক্ত গণসংযোগ কর্মকর্তা) নাজমুর ইসলাম ভূইয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, আজ উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশনে যাত্রীদের খুব একটা চাপ ছিলনা। অধিকাংশ কোচ খালি ছিল। 

নাজমুর ইসলাম ভূইয়া আরও বলেন, সামনে দিনে যাত্রীর চাপ আরও কমবে। দূর দূরান্ত থেকে যারা শখের বসে এসেছেন এমন যাত্রীর সংখ্য দিনে দিনে কমছে। আজও পর্যাপ্ত যাত্রী ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

যদিও কাজ কি পরিমাণ টিকিট ক্রয় হয়েছে এমন তথ্য এ কর্মকর্তা বলতে না পারলেও তিনি জানান, চতুর্থ দিনে রোববার ৯ লাখ ১৬ হাজার ৩৪০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে মেট্রোরেলে। এরমধ্যে সিঙ্গেল জার্নি টিকিট (এসজেটি) বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪০ টাকার। আর আগের দিন শনিবারও (৩১ ডিসেম্বর) ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। তবে রোববার ৬ হাজার ৫২৮টি সিঙ্গেল টিকিট বিক্রি হয়েছে। যেখানে শনিবার বিক্রি হয়েছিল ৯ হাজার ২৮৯টি টিকিট।

উল্লেখ্য, রোববার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০ থেকে মেট্রোরেল চালু করার পরও পর্যাপ্ত যাত্রী পাওয়া যায়নি। এতে এক ধরনের ফাঁকা অবস্থায় চলাচল করেছে মেট্রোরেল কোচগুলো। একই কারণে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনও ছিল যাত্রীশূন্য। মূলত দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এমনকি টিকিট ভেন্ডিং মেশিনের সামনেও যাত্রী তেমন একটা চোখে পড়েনি। অথচ অন্যান্য দিন স্টেশন গেটে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

ডিএইচডি/এএস