নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:১৮ এএম
সকাল সোয়া ৬টায় সাভার থেকে এসেছেন আঞ্জুমান আরা। সাথে রয়েছে স্বামী রবিউল ইসলাম। তারা সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। মেট্রোরেল চালুর দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর পাঁচটায় বাসা থেকে নবদম্পতি ছুটে এসেছেন এতে চড়বেন বলে। সকাল পৌনে সাতটার দিকে তাদের সাথে কথা হয়। এই নবদম্পতির মতো শত শত মানুষ ভোরবেলা এসেছেন আগারগাঁও রেল স্টেশনে। ভোর থেকে দীর্ঘ এ লাইন গিয়ে ঠেকেছে পাসপোর্ট অফিসের কাছাকাছি।
গুলিস্তান থেকে এসেছেন রাজিব আহমেদ। তিনি দিয়াবাড়ি এলাকায় একটি কাজে যাবেন। সেই ভাবনা থেকে মেট্রোরেলে উঠার জন্য লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন। আজ আগারগাঁও থেকে যেসব নারী-পুরুষ বৃদ্ধরা মেট্রোরেল ভ্রমণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের অধিকাংশই চাকরিজীবী। গতকালকে তারা প্রথম দিনে চড়তে পারেননি মেট্রোরেলে। ফলে ছুটির দিনকে কোনোভাবে মিস করতে চান না।
এখনো শীতের কুয়াশা কাটেনি। ঠান্ডা আবহাওয়া রয়েছে চারপাশে। এর মাঝেও শিশু-নারীরা ছুটে এসেছেন। শেরে বাংলা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সামনের ফুটপাত ধরে পাসপোর্ট কার্যালয়ের সামনে গিয়ে পর্যন্ত মানুষের লাইন। এ লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। আজকে দ্বিতীয় দিনে কোথায় গিয়ে লাইন কোথায় গিয়ে ঠেকবে কেউ জানে না। এখনো শুরু হয়নি টিকিট বিক্রি।
বিনয় কুমার নামে একজন চাকরিজীবীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, গতকালকে (বৃহস্পতিবার) চাকরির কারণে আসতে পারিনি। তাই আজ ছুটি পেয়ে এসেছি।
ভোর থেকে যারা দাঁড়িয়ে আছেন তাদের অনেকে সময় কাটাতে পড়ছেন আজকের পেপার। কেউ কেউ মোবাইলে ফেসবুক এবং অনলাইন পত্রিকা সার্চ করছেন। লাইনে থাকা অবস্থায় অনেকে কিভাবে টিকিট কাটবেন এবং যাবতীয় তথ্য গুগল থেকে জেনে নিচ্ছেন।
গাজীপুর থেকে আসা মোসলিম উদ্দিন জানান, তিনি ভোর পাঁচটায় গাজীপুর থেকে রওনা হয়ে সকাল সাতটায় মিরপুরে এসে পৌঁছেছেন। সেখান থেকে আবার ভেঙে বাসে আগারগাঁও এলাকায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। দ্বিতীয় দিনে কোনোভাবে মেট্রোরেলে চড়া মিস করতে চাই না।
আগারগাঁও স্টেশনের পাশে ফটকের মূল গেট থেকে পাসপোর্ট কার্যালয় পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন থাকলেও কারো মুখে কোনো ভোগান্তির ছাপ নেই। সকলে অধীর আগ্রহে আছেন এখনো বসে। অধিকাংশ দাঁড়িয়ে আছেন।
এমআইকে/এএস