নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:০১ পিএম
অপেক্ষার প্রহর ঘুচিয়ে ঘটা করেই দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে প্রথম যাত্রী হিসেবে টিকিট কেটে অতিথিদের নিয়ে মেট্রোভ্রমণও উপভোগ করেছেন সরকারপ্রধান। তবে বুধবার থেকেই রাজধানীর বুক চিরে ছুটে চলা এই গণপরিবহনে চড়ার সুযোগ পাচ্ছেন না সাধারণ যাত্রীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে জনসাধারণের জন্য খুলবে মেট্রোরেলের দুয়ার। তাই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর এখন ‘চাতকের মতো’ আগামীকালের অপেক্ষায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আগারগাঁও হয়ে উত্তরা-আব্দুল্লাহপুর রুটে চলাচল করে আলিফ পরিবহন। এই রুটে একজন যাত্রীকে আগারগাঁও থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত যেতে ভাড়া গুনতে হয় ৩৫ টাকা। আবার দীর্ঘ এই পথ যেতেও সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। কখনো কখনো আড়াই থেকে তিন ঘণ্টাও লেগে যায় সড়কে।
মেট্রোরেলের উদ্বোধনের পর কথা হয় গণপরিবহনটির এনায়েত নামে এক বাসচালকের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতিদিন শতশত যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেন। এমনকি নিজের প্রয়োজনেও বাসে চলাচল করেন। বুধবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর দেশ যখন প্রথম মেট্রোরেলের স্বাদ ভোগ করছে, তখন বাসচালক এনায়েতও মেট্রোরেলের পক্ষপাতী।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, আগারগাঁও থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি স্টেশন পর্যন্ত স্টপেজসহ সময় লাগবে ১৭ মিনিট। আর স্টপেজ ছাড়া ১০ মিনিট। ফলে মেট্রোরেলের উদ্বোধনের পর সময় বাঁচাতে তাই অনেকেই দীর্ঘ এই পথে চলাচলে মেট্রোভ্রমণকে বেছে নিচ্ছেন।
সময়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাসচালক এনায়েতের মতো মেট্রোরেলের অপেক্ষায় মিজানুর রহমান। পেশায় রেফরিজারেশন ব্যবসায়ী। ঢাকা মেইলকে তিনি জানান, কাজের প্রয়োজনে প্রায় প্রতিদিনই উত্তরা এলাকায় তাকে কর্মী পাঠাতে হয়। বাসে ভাড়া কম লাগলেও অনেক সময় ব্যয় হয়। তাই বিকল্প হিসেবে প্রায়ই সিএনজিচালিত অটোরিকশার সহযোগিতা নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে আবার খরচের পাল্লাটা বেশ ভারি হয়ে যায়।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘এবার লোকজন মেট্রোরেলে পাঠাবো। দুইজন লোকের যাতায়াত ৩০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। এমনিতে তো সিএনজিতে শুধু যেতেই ৪০০ টাকা লেগে যায়।’
বুধবার ঘটা করে উদ্বোধন হয়েছে মেট্রোরেলের। দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত এই বৃহৎ প্রকল্পের উদ্বোধনকে ঘিরে উত্তরা এলাকায় অগণিত মানুষের ঢল নামে। অনেকেই আবার আগারগাঁও এলাকাতেও ভিড় করেন। দেশের প্রথম মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হতে না পারলেও প্রথম ট্রেনের ছুটে চলা দেখতেও ভিড় করেন অনেকেই।
কারই/আইএইচ