নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:০৭ পিএম
আর ক’দিন পরেই যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে মেট্রোরেল। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আবার ভিন্ন প্রস্তুতি চলছে স্টেশনের পাশের দোকানগুলোতে। অনেকেই গড়ে তুলছেন খাবারের দোকান। তারা বলছেন— স্টেশনে যাত্রী ওঠা নামা করবেন। অপেক্ষা করবেন, তাই খাবারের দোকান দেওয়া।
রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় স্টেশনের পাশে দীর্ঘদিন ফটোকপি, কম্পিউটার, কম্পোজের দোকান চালিয়েছেন ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, আগারগাঁও এলাকায় একাধিক অফিস হওয়ায় ফটোকপির দোকানও হয়েছে প্রচুর। আমার দোকান মেট্রোরেলের পাশেই তাই ফটোকপি মেশিন বিক্রি করে খাবারের দোকান দিলাম। স্টেশন চালু হলে আশা করি ভালো বিক্রি হবে।
মেট্রোরেল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মেট্রোরেলের কাজের জন্য কয়েকবছর আমার দোকান অন্ধকারে ছিল। দোকানে ছাউনি দিয়ে রাখতে হয়েছে ধুলার কারণে। আর শব্দতো আছেই। আমার আয় কমে গিয়েছিল। আগে দোকানে তিনজন ককর্মচারী ছিল। শেষ এক বছরে একজন কর্মচারী দিয়ে দোকান চালিয়েছি। এখন অপেক্ষায় আছি ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার।
শুধু তাই নয় এই স্টেশন এলাকায় যাদের দোকান ছিল তারাও নতুনভাবে সাজিয়েছেন দোকান। মায়ের দোয়া ফুচকা ও চটপটি হাউজের মালিক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমার দোকান আগে ভেতরে ছিল। মেট্রোরেলের জন্য স্টেশনের কাছে জায়গা ভাড়া নিলাম। মেট্রোরেল চালু হলে প্রচুর মানুষ আসবে দেখতে। প্রথম একমাস আশা করি পর্যটন কেন্দ্র হবে তাই দোকান নতুন করে সাজালাম। আমার দোকানে চটপটি, ফুচকা বিক্রি হয়। তাই কয়েকটা চেয়ার, নতুন টেবিল আর দোকান রং করেছি কাস্টমারকে আকর্ষণ করাই উদ্দেশ্য।
এই স্টেশন এলাকার একাধিক দোকানমালিক জানান, তারা মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে নতুন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। পাশাপাশি দোকান সজ্জা থেকে শুরু করে নতুন পণ্য উঠিয়েছেন।
পিএস/এইউ