জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:০৬ পিএম
রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকাকে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) আওতায় আনা হচ্ছে। এ জন্য বুধবার থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কাকরাইল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত একে একে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একটি সূত্র ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সরেজমিনে এর সত্যতাও মিলেছে। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে কাকরাইল মোড় এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তিকে একটি মইয়ে চড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ক্যামেরা লাগাতে দেখা যায়। পরে তাদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে বলেন, সিসি ক্যামেরা বাসানোর কাজ চলছে। আজই এই কাজ শেষ করবেন তারা। এসব সিসি ক্যামেরা কাকরাইল মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত বসানো হচ্ছে।
ডিএমপির সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। ওইদিন রাতেই এই সিদ্ধান্ত হয়। যা বৃহস্পতিবার থেকে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে স্পষ্টভাবে এখনো তেমন কিছু জানানো হচ্ছে না। তবে এই সিসি ক্যামেরাগুলো কাকরাইল থেকে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত বসানো হচ্ছে। যারমধ্যে বিএনপির পার্টি অফিসের সামনেও থাকছে ক্যামেরা।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়টিও ভাবিয়ে তুলেছে প্রশাসনকে। এ কারণে এই সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করেই এই সিসি ক্যামেরাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। এছাড়াও বিএনপি অফিসের সামনে সেগুলো স্থায়ীভাবে রাখা হবে। যাতে সেখানে কখন কী ঘটছে এবং কারা ঢুকছে-বের হচ্ছে এসব মনিটরিং করা সহজ হয়।
যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা নিরাপত্তার স্বার্থে এসব সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছেন। এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে যা করণীয়, তার সবই করবে পুলিশ।
বুধবারের সংঘর্ষের পর থেকে পুরো নয়াপল্টন এলাকায় অসংখ্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বৃহস্পতিবারও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকেও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে যেতে দেওয়া হয়নি। পরে তিনি অন্যখানে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন।
এদিকে, বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মতিঝিল ও পল্টন থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে মতিঝিল থানার মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে করা পল্টন থানার মামলায় মামলায় ৪৭৩ জনকে এজাহারনামীয় আসামি ছাড়াও ১৫০০-২০০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এমআইকে/আইএইচ