নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ নভেম্বর ২০২২, ০৮:২৮ পিএম
রাজধানীর নীলক্ষেতে তুলা মার্কেটে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান উচ্ছেদে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। রোববার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলা এই অভিযানে ১৮৮টি অবৈধ দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযান আগামীকাল সোমবারও চলবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
নীলক্ষেত তুলা মার্কেটের প্রথম তলায় শুধু ৩৫টি দোকানই বৈধ। এছাড়া তিন তলা মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা ৭৫টি করে মোট ১৫০টি এবং প্রথম তলায় বৈধ ৩৫টি দোকানের সাথে অবৈধভাবে ৩৮টি দোকান সম্প্রসারণ ও নির্মাণ করা হয়। সবমিলিয়ে তুলা মার্কেটে মোট ১৮৮টি অবৈধ দোকান রয়েছে। অভিযানে সব অবৈধ দোকান ও দোকানের বর্ধিতাংশ উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নীলক্ষেত তুলা মার্কেটের বৈধ ৩৫টি দোকানের ওপর ভিত্তি করে একটি অসাধু চক্র নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১৮৮টি অবৈধ দোকান নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করেছে। অভিযানে প্রথম তলার বৈধ ৩৫টি দোকান বাদে বাকি সব অবৈধ দোকান ভেঙে ফেলা হবে। সব অবৈধ দোকান না ভাঙা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।
করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন পুরো উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। আগামীকাল সোমবারও উচ্ছেদ অভিযান চলবে বলে জানানো হয়েছে।
ডিএসসিসি জানায়, কিছু লোক ক্ষমতার অপব্যবহার করে দোকানগুলো গড়ে তোলে (২০১২ সালে), যার নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ সিটির সার্ভেয়ার মুহাম্মদ মুরাদ হোসেন, সৈয়দ রুমান ও কানুনগো মোহাম্মদ আলী। তারা নিজেদের পছন্দের লোকদের মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ৭৪টি ও তৃতীয় তলায় ৭৪টি মোট ১৪৮টি দোকান মাসিক প্রতি বর্গফুট ১৫ টাকা ভাড়া হিসেবে অস্থায়ী বরাদ্দ দেয়। শর্ত ছিল- বরাদ্দপ্রাপ্তরা নিজ খরচে দোকান নির্মাণ করবে।
তিনতলা মার্কেটটির নিচতলায় আছে বেডিংয়ের দোকান। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় কিছু টেইলার্স, প্রেস ও কোচিং সেন্টার, যার বেশিরভাগই ভাড়া দেওয়া। মার্কেটের মালিক সমিতির কার্যালয় দোতলায়। উচ্ছেদের আগে অবৈধ দোকানগুলোর মালপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
ডিএইচডি/জেবি