ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় স্থানীয় সরকারের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন

প্রচণ্ড বেগে দেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে শুকনা খাবার ছাড়াও নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় আয়োজিত এক বিশেষ সভায় আওতাধীন সব দফতর/সংস্থাসহ স্থানীয় প্রশাসনকে এই নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, জেরিক্যান, অস্থায়ী নলকূপ স্থাপনের মালামাল, অস্থায়ী টয়লেট স্থাপনের মালামাল, ব্লিচিং পাউডার, হাইজিন কিট, মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টসহ দুর্যোগকালীন প্রয়োজনীয় অন্যান্য মালামাল মজুদের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দফতর/সংস্থা/স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে সিত্রাং সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণাসহ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রসমূহ প্রস্তুত রাখা, প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা ছাড়াও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীগণকে সার্বক্ষণিকভাবে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সভায় সিত্রাং পরবর্তী রাস্তা-ঘাট/কালভার্ট সংস্কার/মেরামত করে সচল রাখা ছাড়াও পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় ও ঘূর্ণিঝড় কবলিত সব জেলায় ‘কন্ট্রোল রুম’ খোলা রাখার জন্য বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় আয়োজিত ওই সভায় অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী ছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দফতর/সংস্থার প্রধানগণসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ডিএইচডি/আইএইচ