images

জাতীয়

উপকূলীয় এলাকার বাতাসে ভাসছে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার ডাক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৪ অক্টোবর ২০২২, ০১:২২ পিএম

প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে সরকারি নানা সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও বিপদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ায়। কখনও উপকূলের বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া, শুকনা খাবার বিতরণ, প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার কাজটি করে থাকেন এসব সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। এবারের ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং যত ঘণীভূত হচ্ছে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে তাদের। ঝুম বৃষ্টির মধ্যেও ঘুরে ঘুরে মাইকিং করে লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। 

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে— মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ কারণে খুলনা ও এর আশপাশের এলাকা, পটুয়াখালী, বরগুনা, কক্সবাজারসহ উপকূলীয় সব এলাকায় লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও স্বেচ্ছাসেবীরা বাড়িতে বাড়িতে ছুটছেন লোকজনকে সতর্ক করতে।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খান মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী ঢাকা মেইলকে বলেন, আমার এলাকায় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকেল ৩টার মধ্যে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে খুলনার কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, মোংলায় ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর পরই ঝুঁকিপূর্ণ লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। কয়রায় ১০৮টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। ঝুকিপূর্ণ সবাইকে সন্ধ্যার আগেই আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হবে। 

অন্যদিকে দুপুরের খাবার খেয়ে লোকজকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মধ্যরাত থেকে উপকূলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। খুলনা শহরে ড্রেন ও রাস্তা পানিতে ভরে গেছে। নদীতে পানির চাপ বাড়ায় কয়রা ও সাতক্ষারীর আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব স্থানীয় প্রশাসনকে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা, লোকজনের জন্য শুকনা খাবার কেনাসহ সার্বিক প্রস্তুতির জন্য আগেই নির্দেশনা হয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সার্বিক পরিস্থিতিতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র, মেডিক্যাল টিম, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রয়েছে।’

এদিকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের সোসাইটির ডিজেস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেছেন, পরিস্থিতি যাই হোক আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। দেশের উপকূলীয় এলাকায় রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি ইয়ুথ ভলান্টিয়ারদেরও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তাবুসহ আনুসঙ্গিক জিনিসপত্রও প্রস্তত রাখা হয়েছে। জেলার দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা হচ্ছে।

বিইউ/এইউ