তানভীর আহমেদ
২৪ অক্টোবর ২০২২, ১২:৪৯ পিএম
সিত্রাং মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে চালু করে সেখানে তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। স্বেচ্ছাসেবক মেডিকেল টিমসহ স্থানীয় প্রতিনিধিরাও এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। এমন প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন উপকূলীয় জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকেরা।
খুলনা জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার ঢাকা মেইলকে বলেন, সিত্রাং মোকাবিলায় খুলনা জেলায় ৪০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এ জেলার উপকূলীয় তিনটি উপজেলা পাইকগাছা, কয়রাও দাকোপ উপজেলার মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে। সকল এলাকায় যাতে খাদ্য সংকট না হয় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রান সহায়তা ইতোমধ্যে আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে যার সংশ্লিষ্ট উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক, আনসারদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেকোনো ধরনের দুর্যোগ হলে তার মোকাবিলায়।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন ঢাকা মেলকে বলেন, পটুয়াখালী জেলার চারটি উপজেলা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তা হলো- কলাপাড়া, দশমিনা, দুমকী, রাঙ্গাবালী। এ সকল এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য ৭০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এই জেলায় ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। আজ সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে একটি উপকূলের আসার সম্ভাবনা রয়েছে তাই আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, বরগুনা জেলায় বর্তমানে সাত নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। সিত্রাং মোকাবিলায় এই জেলার ৬৪২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে তালতলী থেকে ২ হাজার, সদর উপজেলা থেকে ২০০ এবং পাথরঘাটা উপজেলা থেকে ১ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। দুর্গাতো এলাকায় যেন খাদ্যের ঘাটতি না হয় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
টিএ/এইউ