নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ অক্টোবর ২০২২, ১১:৪৫ এএম
সময় যত ঘনিয়ে আসছে আরও উত্তাল হচ্ছে সাগর। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলে ঝড়ো বৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে বাড়ছে বাতাসের গতিও।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বরিশাল উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে দেশের চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ৮ নম্বর বিশেষ সতর্কবার্তায় এমন শঙ্কার কথা জানানো হয়।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এর ফলে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলসহ বেশিরভাগ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আগামীকাল ভোরে এটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
টিএই/এমআর