জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: শিল্পমন্ত্রী

জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, এই শিল্পে বাংলাদেশ পরিবেশগত, পেশাগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) নিজ অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মি. এসপেন রিক্টর-সেভেনডনেসের সঙ্গে সাক্ষাতকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের পরিচালনা, উন্নয়ন ও বিকাশের অংশ হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় ২০১১ সালে ‘শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড শীপ রিসাইক্লিং রুলস্’ জারি করে। এছাড়া ২০১৮ সালে ‘বাংলাদেশ জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ আইন’ প্রণয়ন করে।

সাক্ষাতকালে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯ অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

মি. এসপেন রিক্টর-সেভেনডনেস বলেন, এই কনভেনশন অনুমোদনের ফলে জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাবে। নরওয়ে একটি জাহাজ নির্মাণকারী জাতি। মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ায় নরওয়েতে প্রচুর জাহাজ রিসাইক্লিংয়ের অপেক্ষায় আছে। বাংলাদেশি ইয়ার্ডগুলো এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারে। এ জন্য পরিবেশগত ও নিরাপত্তার বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দি হংকং কনভেনশন’ ২০২৩ সালের মধ্যে অনুমোদন করা হলে এ সংক্রান্ত শর্তগুলো প্রতিপালনের জন্য বাংলাদেশ আরও দুই বছর সময় পাবে।

জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থা প্রবর্তিত ‘দি হংকং কনভেনশন’ অনুমোদনের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের বিবেচনাধীন। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের পিএইচপি শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি ইয়ার্ড এই শিল্প সংক্রান্ত সর্বোচ্চ কমপ্লায়েন্স সনদ অর্জন করেছে। সেই সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে ইয়ার্ডসমূহের কারিগরি ও কাঠামোগত উন্নয়নে ইতোমধ্যে ৮৫টি ইয়ার্ড ‘শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটি প্লান’ প্রস্তুত করেছে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাফর উল্লাহ ও শেখ ফয়েজুল আমিন, যুগ্মসচিব মো. আব্দুল ওয়াহেদ, উপসচিব মো. মোমিনুর রশীদ এবং বাংলাদেশে নরওয়ে দূতাবাসের উন্নয়ন বিষয়ক ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা মোরশেদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিএ/আইএইচ