images

জাতীয়

সরকারবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত নই: বিদায়ী তথ্যসচিব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৭ অক্টোবর ২০২২, ০২:২২ পিএম

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্তকে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করার কথা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেছেন, অন্য কোনো রাজনৈতিক বা সরকারবিরোধী কোনো কার্যক্রমে আমি জড়িত নই।’

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সরকারবিরোধীদের সঙ্গে নিজের যোগাযোগের অভিযোগ অস্বীকার করে সদ্য বিদায়ী তথ্যসচিব বলেন, আমি আমার জীবনে নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে কখনো আপস করিনি। যতদিন বেঁচে থাকব মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অবিচল থাকব। ভালো থাকবেন সবাই।

গতকাল রোববার (১৬ অক্টোবর) তাকে অবসরে পাঠানোর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে কী কারণে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় সে ব্যাপারে মুখ খোলেননি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয় ও সচিবালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না।

তবে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আর্থিক অনিয়ম ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতির ফাইল আটকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এই কারণেই তাকে সরিয়ে দেওয়ার কথা চাউড় হয়।

মকবুল হোসেনকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হলেও সোমবার দুপুর পর্যন্ত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তার নাম দেখা গেছে।

স্বাভাবিকভাবে ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল মকবুল হোসেনের। তবে রোববার ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে তাকে অবসরে পাঠায় সরকার।

সরকারি চাকরির ৪৫ ধারাতে বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ (পঁচিশ) বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজন মনে করলে কোনো কারণ ছাড়াই তাকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠাতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করবে।

গত বছরের ৩১ মে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগ দেন মকবুল হোসেন। এর আগে তিনি যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদফতরে রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাছাড়া বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

মকবুল হোসেন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১০ম ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি তার চাকরি জীবনের বেশিরভাগ সময় মাঠ প্রশাসনে কাজ করেছেন। তিনি সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ; পরিচালক, পরিবেশ অধিদফতর এবং সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা), জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিইউ/এমআর