জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:০২ পিএম
বিভিন্ন জেলা থেকে গাজা তৈরির কাঁচামাল এনে তা কারখানায় রাখা হতো। এরপর প্রক্রিয়াজাত করে বাস মাইক্রোবাস ও পিকআপ ভ্যানে পাঠিয়ে দেওয়া হতো বিভিন্ন স্থানে। এভাবে রাজধানীর টঙ্গী এলাকায় গাঁজা প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করে আসছিল মাদক চোরাকারবারি ফোরকান। এই ব্যবসা চালানোর জন্য সঙ্গে রেখেছিলেন আরও কয়েকজনকে।
বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রাজধানীর টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে এই সিন্ডিকেটের মূল হোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মূল হোতা ফোরকান হোসেন শান্ত (৩৫), কামরুল ইসলাম ইয়াছিন (১৫), মোসা. হনুফা (৩০), ইসমত আরা ওরফে সাবিনা (২৫) ও শহিদুল ইসলাম (২৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা বিভাগে এডিসি মাহবুব। তিনি জানান, আন্তঃজেলা মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতা ফোরকানকে তার চার সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়। আন্তঃজেলা মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতা ফোরকান তার সহযোগীদের দিয়ে টঙ্গী পূর্ব এবং আশপাশের বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক বিক্রির সিন্ডিকেট গড়ে তোলে।
বৃহস্পতিবার টঙ্গী পূর্ব থানা ছাড়া বিভিন্ন এলাকা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রের সঙ্গে পাঁচজন জড়িত ছিলেন। তারা মূলত এই কারখানায় গাঁজা প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দিত। এক্ষেত্রে তারা মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার ব্যবহার করত। যাত্রী পরিবহনের আড়ালে তারা এই মাদকের ব্যবসা চালাত।
তাদের গ্রেফতারের সময় মাদক বিক্রির নগদ ২৮ হাজার ৩৩০ টাকা, মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি বাস, একটি নোহা মাইক্রোবাস, দুটি পিকআপ, দুটি মোবাইল, দুটি স্বর্ণের চেইন, মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের ৯টি হিসাব রেজিস্ট্রার ও একটি গাড়ির ভূয়া নেমপ্লেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ফোরকান হোসেন শান্ত গাজীপুর, ঢাকা, নরসিংদীসহ বিভিন্ন জেলায় তার সহযোগী মাদক ব্যাবসায়ীদের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করে আসছিল। এক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন পন্য পরিবহনের নামে পিকআপ, মাইক্রোবাস, বাসের মাধ্যমে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় মাদক পৌঁছে দিত। তাদের বিরুদ্ধে পিরোজপুর টঙ্গী পশ্চিম থানা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।
এমআইকে/এমআর