images

জাতীয়

তিস্তা চুক্তিসহ অমীমাংসিত সব সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:৫১ পিএম

তিস্তাসহ অমিমাংসিত যেসব ইস্যু আছে ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তা দ্রুত সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের হায়দরাবাদ হাউজে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি প্রদানকালে এ কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: হিন্দিতে বক্তব্য দিয়ে সবাইকে চমকে দিলেন শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত ৫৪টি নদী দ্বারা সংযুক্ত ও চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে দুই দেশের মধ্যে। কুশিয়ারার সমস্যার সমাধান হয়েছে। আশা করি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইসহ সব অমীমাংসিত সমস্যারও দ্রুত সমাধান হবে। বাংলাদেশ ও ভারত সম্মিলিত কল্যাণের জন্য সহযোগিতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

hasina-4ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্ক অন্য দেশের জন্য উদাহরণ।

বাংলাদেশ, ভারত এবং এই অঞ্চলে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত অংশীদার হিসেবে একসঙ্গে কাজ করতে পারলে এটি শুধু দুই দেশের জন্যই নয়, এ অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।

আরও পড়ুন: ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার

এর আগে বক্তব্য দিতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ আরও জোরদার সম্পর্ক নিয়ে এগিয়ে যাবে। নিজেদের মাঝে অবিশ্বাস তৈরি করে এমন শক্তির বিরুদ্ধে ৭১’এর চেতনায় দুই দেশ কাজ করবে। আমরা এমন কিছু করব না যাতে দুই দেশের ভ্রাতৃত্ব নষ্ট হয়।

ভারতের সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ আজ ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার এবং এই অঞ্চলে আমাদের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। জনগণের সহযোগিতায় (সম্পর্কের) ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে।

hasina-1যৌথ বিবৃতি প্রদানের আগে দুই দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে কুশিয়ারার পানি বণ্টনসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

তারও আগে সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেন।

লাল গালিচা সংবর্ধনা শেষে প্রধানমন্ত্রী রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। মহাত্মা গান্ধীর প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা সেখানে রাখা স্মারক বইয়ে সই করেন। এরপর মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।

hasina-2

আগামীকাল বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সভায় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’প্রদানের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের খাজা গরিব নওয়াজ দরগাহ শরিফ, আজমির (আজমির শরিফ দরগাহ) জিয়ারত করবেন।

এমআর