images

জাতীয়

সাক্ষরতার হারে উন্নতি, গ্রামের চেয়ে ১০ ভাগ বেশি শহরে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৭ জুলাই ২০২২, ১২:৩৯ পিএম

সবশেষ জনশুমারির তুলনায় এবারের জনশুমারিতে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ২২.৮৯ ভাগ। আর গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে সাক্ষরতার হার ৯.৭২ ভাগ বেশি। 

বুধবার (২৭ জুলাই) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী সারা দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ। সাক্ষরতার হারে নারীদের চেয়ে এগিয়ে আছে পুরুষরা। ২০১১ সালের আদমশুমারির তুলনায় সাক্ষরতার হারে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬.৫৬ শতাংশ এবং নারীদের সাক্ষরতার হার ৭২.৮২ শতাংশ। এই হার ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ছিল ৫৪.১১ শতাংশ এবং নারীদের সাক্ষরতার হার ছিল ৪৯.৪৪ শতাংশ।

burhan

২০১১ সালের আদমশুমারিতে হিজড়াদের সাক্ষরতার কোনো হিসাব না থাকলেও এবারের জনশুমারিতে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের সাক্ষরতার হার ৫৩.৬৫ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় সাক্ষরতার হার বেশি। জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী পল্লী এলাকার মোট সাক্ষরতার হার ৭১.৫৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৩.২৯ শতাংশ, নারীদের সাক্ষরতার হার ৬৯.৯৩ শতাংশ এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৫১.৯৭ শতাংশ।

এছাড়া শহর এলাকায় মোট সাক্ষরতার হার ৮১.২৮ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ৮৩.১৮ শতাংশ, নারীদের ৭৯.৩০ শতাংশ এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৫৫.২৮ শতাংশ।

বিইউ/এমআর