সেলিম আহমেদ
১২ জুলাই ২০২২, ১০:০১ পিএম
হাকালুকি হাওরের দক্ষিণ তীরের কালেশার গ্রামের মনফর মিয়া স্ত্রী আর ২ সন্তান নিয়ে ঈদ করেছেন কালেশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে।
ঈদের পরের দিন ১২ জুলাই মঙ্গলবার সকালে ফিরতে চেয়েছিলেন নিজ গৃহে। কিন্তু রোববার ও সোমবার রাতে টানা ও ভারী বর্ষণে হাকালুকি হাওরে ৩ ইঞ্চির বেশি পানি বেড়েছে। ফলে নৌকা নিয়ে বাড়ির উঠোন থেকে ফেরৎ এসেছেন আশ্রয় কেন্দ্রে।
মনফর মিয়া বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে গাদাগাদি করে থাকা খুবই কষ্টকর।ভেবেছিলাম পানি কমায় বাড়িতে গিয়ে ঘরবাড়ি মেরামত করব। কিন্তু পানি বাড়ায় বাড়ি ফেরাটা আরও পেছালো।
একই উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুর কটিরপার এলাকার বাসিন্দা মজম্মিল মিয়া, রোজিনা বেগম, সুলতানা বেগম জানান, পানি কমায় অনেক আশায় ছিলাম ঈদের দুয়েক দিনের মধ্যে বাড়িতে ফিরতে। মঙ্গলবার বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বন্যার পানি যেটুকু নেমেছিলো তা আবার বেড়ে গেছে। ঘর থেকে বন্যার পানি নামলেও সেই ঘরের অস্থিত্ব নেই বললেই চলে। কাঁদায় একাকার।
বরমচাল ইউনিয়নের পশ্চিম আলী নগর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে আর মন চায় না। কিন্তু কি করবো এখনও বন্যার পানি নামেনি ঘর থেকে। সেই সাথে গ্রামের কোনো হাটাচলার রাস্তা নেই। রাস্তাগুলো সব বন্যার পানিতে ভেঙে চালাচলের অনুপযোগি।
বন্যার কারনে ভুকশিমইল ইউনিয়নের ১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি স্কুল এন্ড কলেজে এখনও ৪ থেকে ৫ ফুট পানিরে নিচে। শতভাগ রাস্তাঘাট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ। এখনও নৌকা ছাড়া চলাচলের কোনো সুযোগ নাই।
জয়চন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মাহবুব জানান, আমার ইউনিয়নের গ্রামীণ অবকাঠামো বিশেষ করে রাস্তাঘাট ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে শতভাগ রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ব্যাপক ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এদিকে কুলাউড়া উপজেলার বন্যা দূর্গত এলাকায় ঈদের দিন কোরবানীর গোশত এবং ঈদের পর ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসএএস/ একেবি