জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১১ জুলাই ২০২২, ১২:৫৯ পিএম
ঈদুল আজহা শেষ হলেও এখনো অনেকে নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন। কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে কেউ আবার একাই ব্যাগ বস্তা নিয়ে ঢাকা ছাড়ছেন। ফলে বেশিরভাগ জায়গা ফাঁকা থাকলেও গুলিস্তান, মহাখালী, সায়েদাবাদ এলাকায় মানুষের ভিড় আছে।
সোমবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে এসব এলাকা থেকে বিভিন্ন রুটে যাওয়া যাত্রীদের নিয়ে চলা যানবাহনের কারণে কিছুটা যানজটও দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে ঈদের দিনে যাত্রী না পেলেও সোমবার ঢাকার যানবাহনে যাত্রীদের উপস্থিতি বেড়েছে।
গুলিম্তান, ফুলবাড়িয়া এলাকায় দেখা গেছে, মাওয়া, দোহার এলাকা থেকে আসা গাড়ির কারণে আলুবাজার থেকে ফুলবাড়িয়া দর দিকের রাস্তায় গাড়ির জটলা।
আবার গুলিস্তানের পীর ইয়ামিনি মার্কেটের উল্টো পাশ দিয়ে ফুলবাড়িয়ার পর পর্যন্ত পূর্বপাশের রাস্তায় তীব্র যানজট। এই পাশে ঢাকা-মাওয়া রুটের গাড়ি বেশি দেখা গেছে। এছাড়া ঢাকা দোহার, নবাবগঞ্জ এলাকার গাড়িতেও যাত্রী চাপ দেখা গেছে এই এলাকায়।
অন্যদিকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ ঢাকা ছাড়ার কারণে সদরঘাট এলাকায়ও লঞ্চের যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। অনেককে একাধিক বড় বড় ব্যাগ, অন্যন্য সরঞ্জাম নিয়ে বাড়ি যেতে দেখা গেছে।
এদিকে ঈদের পরও যারা ঢাকা ছাড়ছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই নিম্নআয়ের। এদের অনেকে কোরবানির দিন (রোববার) বাড়তি আয়ের জন্য গরু কাটাকাটির কাজ করেছেন। দিনভর কাজ করে অনেকেই বেশ ভালো আয় করেছেন। তাই সবার ঈদ শেষ হওয়ার পর তারা গ্রামে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে ঢাকা ছেড়ে যাওয়াদের মধ্যে অনেক নারীদেরও দেখা গেছে। ঈদের দিনে অনেক নারীদেরও বাসা বাড়িতে বাড়তি কাজ করতে হয়েছে। পশু কাটাকাটির সময় পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও মাংস কাটতে সহযোগিতা করেছেন। তাদেরও অনেকে বাড়ি যাচ্ছেন। অনেকের হাতে মাংসের ব্যাগও দেখা গেছে। কেউ আবার পাতিলে মাংস রান্না করেও নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকায় অনেকে কোরবানি দিচ্ছেন। বিশেষ করে পুরান ঢাকার অনেক বাড়ির সামনে গরু কোরবানি করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে ঢাকার সড়কে ঈদের দিনে যাত্রী সংকট থাকলেও সোমবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন দেখা গেছে। বেশিরভাগ গাড়িতে যাত্রী রয়েছে বেশ ভালোই। যাদের অনেকেই আত্মীয় স্বজনদের বাসা বাড়িতে, ফাঁকা ঢাকায় ঘুরে বেড়াতে বের হয়েছেন।
বিইউ/এএস