নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ জুলাই ২০২২, ১০:২৪ পিএম
পূর্ব নির্ধারিত ১২ ঘণ্টার আগেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসির) এলাকার কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। ডিএনসিসি দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে রাত সাড়ে ৯টায়, আট ঘণ্টারও কম সময়ে বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করে। অন্য দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও (ডিএসসিসি) ইতোমধ্যে ৭৫ শতাংশের বেশি বর্জ্য অপসারণ করেছে। রাতের মধ্যে তাদের বর্জ্যও অপসারণ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলে ঈদের দিনে ১২ লাখ ৪৭ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে এবং প্রায় নয় হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। ডিএনসিসির বর্জ্য বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫০টির শতভাগ অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি চারটি ওয়ার্ডের সকল বর্জ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করা হয়েছে এবং সেগুলো ল্যান্ডফিলে ট্রান্সফার করা হচ্ছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসির বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং সরাসরি তদারকি করেন।
আজ ঈদের দিন (১০ জুলাই) দুপুরে ডিএনসিসি মেয়র ওয়ার্ড নম্বর ৭ এর অন্তর্গত কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট সাতটি স্থান ঘুরে দেখেন।
দুপুরে মিরপুর সেকশন ২ এর ৬ নম্বর রোডের নুরানি মসজিদ সংলগ্ন স্থান পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি হলে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি খুব অল্প সময়ে বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়। এর ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কমে আসে। এবছর পরীক্ষামূলকভাবে ডিএনসিসির তিনটি ওয়ার্ডের ৯টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি হওয়ায় সর্বপ্রথম ৭নং ওয়ার্ডে দুপুরের মধ্যেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।'
সচেতন নাগরিকরা বর্জ্য অপসারণ কাজে সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে তিনি দুই দিনের মধ্যে নগরবাসীকে কোরবানি সম্পন্ন করার আহ্বান করেন।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র আগামীকালও বর্জ্য বিভাগকে কোরবানির বর্জ্য দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
মিরপুর এলাকা পরিদর্শন শেষে মেয়র আগারগাঁও, নাখালপাড়া, মগবাজার, খিলগাঁও তালতলা এলাকাসহ অন্যান্য এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শনে অন্যান্যের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে রোববার (১০ জুলাই) রাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে তাদের ৭৫ শতাংশের বেশি বর্জ্য অপসারণ হয়েছে। বাকিটুকুও রাতের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন তারা।
আবু নাছের আরও বলেন, কোরবানির পশু ও পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সুচারূভাবে সম্পাদন করতে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। মেয়র মহোদয় এই কার্যক্রমের সরাসরি তদারকি করছেন।
ডিএইচডি/জেবি