জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১০ জুলাই ২০২২, ১০:১১ পিএম
প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানীতে কোরবানির গোশত বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে পাওয়া গোশত দুস্থ-গরিব মানুষেরা বিক্রি করে দিচ্ছেন। সেগুলো স্বল্প দামে কিনে নিচ্ছেন মৌসুমি বিক্রেতারা। ফলে এলাকাভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে এসব কোরবানির গোশত।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোথাও ৭৫০, কোথাও ৬৫০, আবার কোথাও মাত্র সাড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কোরবানির গোশত। এসব গোশতের বেশির ভাগ ক্রেতাই মধ্যবিত্ত। বিশেষ করে যারা কোরবানি দিতে পারেননি এমন লোকজন, অন্য সময়ের তুলনায় দামে কম পাওয়ায় তারা কিনে রাখছেন।
দামের এই ভিন্নতার কারণ খুঁজে জানা গেছে, যেসব এলাকায় এমন গোশতের বিক্রেতা ও গোশত কম সেখানে বিক্রি হচ্ছে প্রায় বাজারমূল্যে। আবার যেখানে পর্যাপ্ত গোশত সেখানে অনেক কম দামেও বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর ফকিরাপুল, ভুতের গলি, পুরান ঢাকা, মোহাম্মদপুর, নতুনবাজার, আফতাবনগর, রামপুরা, খিলগাঁও, পুরানা পল্টন, মগবাজার ও উত্তরা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব এলাকায় কোরবানির গোশত বিক্রি হচ্ছে।
নতুন বাজারের উত্তর অংশের ফুটপাতে বসেছে এমন তিনটি দোকান। তবে ভাসমান। ভ্যানে করে দাঁড়িয়ে বিক্রি করছেন কয়েকজন। সালাম নামে একজন হাঁকডাক করছিলেন। তার দোকানকে ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড়। কাছে গিয়ে ভিড় ঠেলে দাম জিজ্ঞেস করতেই দোকানি সালাম বলে উঠলেন, এক দাম ৬৫০। নিলে নেন, না নিলে বাদ দেন।
তার এমন কথায় কয়েকজন পাশ থেকে বলে উঠলেন, এটা তো বাজার দামের সমান। এত বেশি কেন। সালামের উত্তর ছিল, ভাইরে আমরা তো কিনে বিক্রি করছি। লাভ তো কিছু করতে হবে নাকি।
অন্যদিকে আফতাবনগর এলাকায় একই গোশত বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। ভাটারা থানা থেকে সামনের এলাকাতেও বিকেলে বিক্রি হয়েছে এই দামে।
তবে কোথাও কোথাও বাজারমূল্যে গোশত বিক্রি হতেও দেখা গেছে। রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরের শাহ আলী মাজার এলাকা, ধানমন্ডির জিগাতলা, মোহাম্মদপুরের টাউন হল ও শিয়া মসজিদ মোড় ঘুরে ৭৫০ টাকা কেজিতে গোশত বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সকাল থেকে গরুর কসাইরা বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করে একেকজন ১৫-২০ কেজি করে গোশত সংগ্রহ করেছেন। এছাড়াও ভাসমান মানুষের অনেকের বাসায় ফ্রিজ না থাকায় পাওয়া গোশতের কেউ পুরোটা আবার কেউ অর্ধেক বিক্রি করেছেন মৌসুমি বিক্রেতাদের কাছে।
বিকেল থেকে খিলগাঁও রেলগেটে গোশতের বেশ কিছু দোকান বসে। তবে এখানে গোশত ৫০০ টাকা বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে নগরীর বিভিন্ন ফুটপাত ও মোড়ে যেসব ভাসমান কোরবানির গোশতের দোকান বসেছিল সেগুলোর অধিকাংশ গোশত ছিল মাথা ও লেজের অংশ। ক্ষেত্র-বিশেষে তাতে মানসম্মত গোশতের দেখা মিলেছে। এরপরও অনেকে হুমড়ি খেয়ে কিনেছেন এসব গোশত।
এমআইকে/জেবি