নিজস্ব প্রতিবেদক
৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪১ এএম
ই-সিগারেট, ভেপসহ সব ধরনের ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট এবং কুম্ভি পাতা ও টেন্ডু পাতায় মোড়ানো বিড়ি নিষিদ্ধ করে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
২০০৫ সালের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এতে তামাক, তামাকজাত দ্রব্য, নিকোটিন ও নিকোটিনজাত দ্রব্যের সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশোধিত আইনে তামাকজাত দ্রব্যের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে ই-সিগারেট, ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট, নিকোটিন পাউচসহ সরকার ঘোষিত অন্যান্য নিকোটিন পণ্য। এছাড়া কুম্ভি পাতা ও টেন্ডু পাতায় মোড়ানো বিড়িকে পৃথকভাবে সংজ্ঞায়িত করে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম বা এর যন্ত্রাংশ ও অংশবিশেষ—যে নামেই পরিচিত হোক না কেন—ই-সিগারেট, ভেপ, ভেপিং, ভেপার, ই-লিকুইড, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট বা অন্যান্য ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা, প্রণোদনা, পৃষ্ঠপোষকতা, বিপণন, বিতরণ, পরিবহন কিংবা ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন না এবং কাউকে করাতেও পারবেন না।
এই বিধান লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা একাধিকবার সংঘটিত হলে পর্যায়ক্রমে দণ্ডের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।
কোনো কোম্পানি এ অপরাধে জড়িত হলে সংশ্লিষ্ট মালামাল জব্দ করা হবে। পাশাপাশি কোম্পানির মালিক, ব্যবস্থাপক বা সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তি সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সঙ্গে ওই কোম্পানির তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রির লাইসেন্স বাতিল করা যাবে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম বা এর যন্ত্রাংশ—যে নামেই পরিচিত হোক না কেন—ব্যবহার করতে পারবেন না। ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
অন্যদিকে, কুম্ভি পাতা, টেন্ডু পাতা বা অন্য কোনো গাছের পাতায় মোড়ানো বিড়ি উৎপাদন, আমদানি, মজুত, বিপণন, বিতরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত হলে তিন মাসের কারাদণ্ড অথবা দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
কোম্পানি এ ধরনের অপরাধ করলে লাইসেন্স বাতিল, আর্থিক লেনদেন স্থগিত বা জব্দসহ আর্থিক জরিমানা আরোপ করা যাবে বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে কুম্ভি পাতা, টেন্ডু পাতা বা অন্য কোনো গাছের পাতায় মোড়ানো বিড়ি ব্যবহার করলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
এএইচ/এএস