images

জাতীয়

কোন দলে কত প্রার্থী, জানাল ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২ হাজার ৫৬৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। যার সর্বোচ্চ বিএনপির ৩৩১ জন আর  জামায়াতে ২৭৬ জনের মনোনয়ন জমা। স্বতন্ত্র প্রার্থী  ৪৭৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।

বিএনপি ও জামায়াতের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২৬৮, জাপা ২২৪, গণঅধিকার ১০৪ ও এনসিপির ৪৪ জন প্রার্থী রয়েছে।

মনোনয়নপত্র জমার পরদিন মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ইসির কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এনআইডি উইং মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

ইসি জানায়, ‎ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫১টি রাজনৈতিক দলের ২,০৯০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চান ৪৭৮ জন।

সোমবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ছিল; ৩০০ আসনে আড়াই হাজারের বেশি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এসব মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ জানুয়ারি পযন্ত। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী চূড়ান্ত হবে ২০ জানুয়ারি, পরদিন প্রতীক যারা পাবেন তারা থাকবেন ভোটের মাঠে।

প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে করে দেখা গেছে, ৫১টি দল ভোটে প্রার্থী দিয়েছে। এরমেধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৩১ জন প্রার্থী রয়েছে বিএনপির। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৬ জন প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৬৮ জন। এনসিপি প্রার্থী দিয়েছে ৪৪ জন। জাতীয় পার্টির ২২৪ জন ও জাসদের ৭ জনের মনোনয়নপত্রও জমা পড়েছে।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২৫৬৯টি। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৪৭৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে; বাকিরা রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটে আছে যেসব দল, মনোনয়নপত্র দিলেন যত জন

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এল.ডি.পি- ২৪ জন, জাতীয় পার্টি-জেপি- ১৩ জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি- ৬৫ জন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-৩৩১ জন,গণতন্ত্রী পার্টি- ১ জন, জাতীয় পার্টি- ২২৪ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ- ৭ জন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী- ২৭৬ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি- ৩১ জন, জাকের পার্টি- ৭ জন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ- ৪১ জন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি- ৩ জন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন- ১১ জন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ- ১৪ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি- ২৩ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ- ৫ জন।

গণফোরাম-২৩ জন, গণফ্রন্ট- ৬ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ-১ জন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-৫ জন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-২২ জন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি-৩ জন, ইসলামী ঐক্যজোট- ৩ জন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস-৯৪ জন,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-২৬৮ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট-২৭ জন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা-৩জন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি- ৭ জন, খেলাফত মজলিস-৬৮ জন।

এছাড়া, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল- ৭ জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট)- ২০ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ- ৯ জন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম- ৮ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেস- ১৮ জন, ইনসানিয়াত বিপ্লব, বাংলাদেশ- ৪২ জন, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ- ৯ জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পাটি (বি.এস.পি)- ২১ জন, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পাটি)- ৫৩ জন, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)-১০৪ জন, নাগরিক ঐক্য- ১১ জন, গণসংহতি আন্দোলন-১৮ জন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি- ২ জন, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)- ৯ জন, বাংলাদেশ লেবার পাটি-১৯ জন,বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি)-১৩ জন, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি- ৪৪ জন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)- ৩০ জন, জনতার দল- ২৩ জন, আমজনতার দল-১৭ জন, বাংলাদেশ সমঅধিকার পার্টি (বিইপি)- ১ জন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পাটি- ৬ জন আর  স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৭৮ জন ও অন্যান্য ১ জন (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মটরশ্রমিক দল)।

নিবন্ধিত যেসব দল ভোটে অংশ নেয়নি

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম. এল),কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বি এন এম।

‎বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫৯টি। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত  থাকায় ভোটে নেই দলটি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

এমএইচএইচ/এআর