images

জাতীয়

অবিক্রীত খাটিয়া-চাঁটাই নিয়ে বিপাকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ জুলাই ২০২২, ০৩:৫৪ পিএম

ঈদের দুই সপ্তাহ আগে থেকে রাজধানীর স’ মিলগুলোতে ছিল তুমুল ব্যস্ততা। আসবাবপত্রের জন্য নয়, স’মিলের শ্রমিকরা ব্যস্ত ছিলেন তেঁতুল গাছ কাটতে। আর সেই তেঁতুল কাঠ আজ ব্যবহার হচ্ছে মাংস কাটার খাটিয়া তৈরিতে। ঈদকে কেন্দ্র করে সেই খাটিয়া কিনে খোলা বাজারে বিক্রি করেছেন অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী। তবে শেষমেষ সব খাটিয়া বিক্রি হয়নি। এছাড়া রয়ে গেছে প্রচুর চাঁটাই ও গোখাদ্য। এসব নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

রোববার (১০ জুলাই) ঈদের দিন দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অস্থায়ী দোকানে দোকানে খাটিয়া, চাঁটাই আর গোখাদ্যের স্তুপ।

ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, বিক্রির আশায় মোটা পুঁজি খাটিয়ে এসব জিনিসপত্র কিনে রেখেছেন তারা। কিন্তু খদ্দের কম। আবার দোকান বেশি হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে মৌসুমি ব্যবসায়।

নগরীর বাড্ডা, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, মিরপুর এলাকার স’মিলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আস্ত তেঁতুল গাছ কেটে এসব খাটিয়া তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে একেকটি খাটিয়ার দাম পড়েছে এক থেকে দেড়শ টাকা। খোলা বাজারে শুরুর দিকে একেকটি খাটিয়া বিক্রি করা হয়েছে চার থেকে পাঁচশ টাকা। অর্থাৎ মোটা অঙ্কের লাভ করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

লাভের অংকটা বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তাই বিনিয়োগও করেছেন অনেক। কেউ কেউ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন খাটিয়া, চাঁটাই, গোখাদ্যের পেছনে।

khatia2

নগরীর আগারগাঁও এলাকায় গোখাদ্যের দোকান দিয়েছেন মো. শাহজাহান। ঈদের দিন দুপুরেও অবিক্রীত হাজার হাজার টাকার খাটিয়া, চাঁটাই।

ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে শাহজাহান বলেন, ‘ভাবছিলাম বিক্রি ভালো হবে। তাই অনেক মালামাল কিনছিলাম। পরে আশেপাশে আরও অনেক দোকান বসছে। কেউ গরু-ছাগল কিনতে অনেক দেরি করে। তারা তো গরুর খাবার ওইভাবে কেনে নাই। তাই খাবারগুলো রয়ে গেছে। খাইট্টাও বিক্রি কম।’

এদিকে মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ বাজার, মিরপুর-১ নম্বর, মহাখালী, বাড্ডা এলাকায় বেশ কিছু দোকানে দেখা গেছে খাটিয়া, চাঁটাইয়ের স্তুপ।

মিরপুর-১ নম্বর এলাকার মৌসুমি ব্যবসায়ী তারেক হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এমন হবে চিন্তা করি নাই। ধরা খেয়ে গেলাম। ৫০০ খাইট্টা আনছি। বিক্রি হইছে দেড়শর মতো। বাকিগুলা কী করুম!’

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স’মিল এই খাটিয়া ফেরত নেবে না। চাঁটাই বিক্রিরও বিকল্প তেমন উপায় নেই। ফলে অনেক টাকা গচ্ছা যাচ্ছে তাদের।

কারই/জেবি