প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, দেশের নিরপচ্ছিন্ন ও মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পাবে যা পরোক্ষভাবে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে ।
আজ সোমবার বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি’র বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প এবং সংশ্লিষ্ট ল্যান্ডিং স্টেশনের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একথা বলেন।
পরিদর্শনকালে তিনি প্রকল্পের অগ্রগতি, কারিগরি সক্ষমতা, পরিচালন ব্যবস্থাপনা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত হন। এ সময় তিনি ল্যান্ডিং স্টেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো শক্তিশালী করতে সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। SMW-৬ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ দেশের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পাবে যা পরোক্ষভাবে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে ।
বিশেষ সহকারী বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (SMW6) কক্সবাজার থেকে একদিকে সিঙ্গাপুর ও অন্যদিকে ফ্রান্স পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এবং কোর ক্যাবলের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর, ভারত, জিবুতি ও ফ্রান্সের স্বণামধন্য ডাটা সেন্টারে যুক্ত হওয়া সম্ভব হবে।
পরিদর্শন শেষে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি প্রাঙ্গণে থাই লংগান গাছের চারা রোপণ করেন।
পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আসলাম হোসেন সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআর/এআর