জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৬ পিএম
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলিতে নিহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার চার্জশিট আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে দেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কশিমনার এসএন নজরুল ইসলাম।
হাদির হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে ওসমান হাদি হত্যা মামলার চার্জশিট দিতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ। সরকার ইতোমধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি নিষ্পত্তি করার ঘোষণা দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এই জঘন্য ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমাদের ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসীর গুলিতে মারাত্মক আহত হন ওসমান হাদি। রিকশায় থাকা অবস্থায় তার মাথায় গুলি লাগে। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলে সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে মৃত্যু হয় তার।
এ ঘটনায় পল্টন থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার পর প্রধান আসামি শ্যুটার ফয়সালের বাবা মাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মূল অভিযুক্ত ফয়সালসহ তার সহযাগীকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ। তারা ভারতে চলে গেছেন ধারণা করা হচ্ছিল। অবশেষে আজ পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কশিমনার এসএন নজরুল ইসলাম বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত ঘাতক ফয়সাল করিম ও আলমগীর ভারতের মেঘালয় রাজ্যে পালিয়ে গেছে। ফয়সাল ও আলমগীরকে ভারতে সহায়তাকারীর মধ্যে ভারতীয় দুই নাগরিক পুত্তি ও শামীকে মেঘালয় পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের গ্রেফতার করতে আমরা ভারতীয় পুলিশকে পুরো প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছি।
তিনি আরো জানান, ওসমান হাদিকে গুলি করার পর রাত ১১টায় আমরা গুলি করা ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পেরেছি। ওই সময় তার পাসপোর্টটি দেশের সকল ইমিগ্রেশনে ব্লক করে দিয়েছি। কোনোভাবেই যেন সে দেশত্যাগ করতে না পারে।
এমআইকে/এমআর