images

জাতীয়

শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিলেন ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৯ এএম

ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রধান আসামি ফয়সাল করিমকে হাজির ও খুনীদের বিচারের দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের নেতৃত্বে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে চলমান ছাত্রজনতার অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রজনতার অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন তারা।

এসময় ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা বলেন, হাদি হত্যার বিচার চাই। স্বাধীন বাংলাদেশে এরকম আর কোনো হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না এবং বাংলাদেশ নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। প্রধান আসামিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। কোনো প্রভাব বা চাপের কাছে ন্যায়বিচার যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

তারা বলেন, এই আন্দোলন কারও বিরুদ্ধে নয়, বরং ন্যায়ের পক্ষে। ছাত্রসমাজ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিল এবং থাকবে।

এরআগে ছাত্রজনতার অবস্থান কর্মসূচি একাত্মতা পোষণ করেন জাতীয় ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান। তিনি বলেন, এই অবস্থান কর্মসূচিতে একমত পোষণ করছি। হাদি হত্যার খুনিদের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রধান আসামিকে হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং কারা কারা জড়িত ছিল, তারও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। এখনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি। এমন হত্যাকাণ্ড মেনে নেয়া যায় না।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর ইনকিলাব মঞ্চের নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেন। এ সময় শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

‘বাংলাদেশের আজাদি, ওসমান হাদি’ ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’, ‘বাংলাদেশের পতাকায় হাদি তোমায় দেখা যায়’ ‘ইনসাফের পতাকায় হাদি তোমায় দেখা যায়’, ‘তাকবীরের ধ্বনিতে হাদি তোমায় দেখা যায়’, ‘নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবর’, ইত্যাদি স্লোগান দেন অবরোধ কর্মসূচিতে আসা ছাত্রজনতা।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলকারীরা বলেন, হাদির হত্যার প্রধান আসামিকে হাজির করতে হবে। সেইসঙ্গে যথাযথ বিচার করতে হবে। সব খুনিকে হাজির না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয় নগরে নির্বাচনি প্রচারণার সময় পরিকল্পিতভাবে ইনকিলাব মঞ্চের শরীফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ওসমান এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়; সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পরে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হাদির লাশ দেশে আনা হয়। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে উপস্থিত হন লাখ লাখ ছাত্রজনতা। জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে শহীদ শরীফ ওসমান হাদিকে সমাহিত করা হয়।

 এসএইচ/এমএইচআর