images

জাতীয়

ব্যস্ততম দিনের অপেক্ষায় ‘মৌসুমি কসাইরা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ জুলাই ২০২২, ০৯:০৫ পিএম

রাত পোহালেই শুরু হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির এই ঈদকে সামনে রেখে পেশাদার কসাই ছাড়াও মৌসুমি কসাইদের কদর বেড়ে যায়। লাখ লাখ পশু কুরবানি হওয়ায় রাজধানীমুখী হন অনেক মৌসুমি কসাই। ইটপাথরের নগরীতে চাহিদা বেশি হওয়ায় তারা গ্রাম থেকে ছুটে আসেন রাজধানীতে।

ইতোমধ্যে অনেক কসাই ছুটে এসেছেন রাজধানীতে। অপেক্ষা করছেন আগামীকালের ঈদের দিনের জন্য।

গ্রাম থেকে আসা কয়েকজন মৌসুমি কসাইয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবারই ঈদে তাদের চাহিদা বাড়ে। কিন্তু এবার বাজার মূল্য বাড়লেও কসাই খরচ খুব একটা বাড়েনি। আগের মতই হাজারে ১০০ টাকা চাচ্ছেন মৌসুমি কসাইরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য মিলেছে।

মিরপুর-১ নম্বর, লালকুটি, মাজার রোড এলাকায় মৌসুমি কসাইদের একটি বড় অংশ এসেছেন দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে। আবার উত্তরবঙ্গের যারা নগরে রিকশা চালক হিসেবে কাজ করেন, তারাও বনে গেছেন মৌসুমি কসাই।

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদকে সামনে রেখে প্রতি এক লাখ টাকার গরুতে ১২ হাজার টাকা চাচ্ছেন কসাইরা। তবে ১০ হাজার টাকা পেলেই তারা কাজ করবেন। এক্ষেত্রে একেকটি গরুর পেছনে কাজ করবেন তিন থেকে চারজন।

রিকশা চালক থেকে মৌসুমি কসাই বনে যাওয়া মো. সবুজ ঢাকা মেইলকে বলেন, ’১১ হাজার কইরা চাইছিলাম। পরে ১০ হাজারেই রাজি হইছি। একটু মাংসও দিব। তিনজনে মিলা একটা গরু কাটুম। ঈদের পরের দিনও আরেকটা করতে চাই। কথা চলতাছে।’

আবার পেশাদার কসাইদের চাহিদা বেশি। তারা প্রতি লাখে চাচ্ছেন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। পেশাদার কসাইরা দ্রুত সময়ে মাংস কাটা ও চাহিদামত মাংসের সাইজ করে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। অপরদিকে যত্ন নিয়ে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে গরু কেটে দেওয়ার কথা বলছেন মৌসুমি কসাইরা।

রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. সিরাজ পেশায় সবজি বিক্রেতা। তবে গত সপ্তাহখানেক ধরে তিনি সময় দিচ্ছেন কামারের দোকানে। তৈরি করে নিয়েছেন চাপাতি, ছুরিসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু। এরমধ্যে দুই জায়গায় দুটি গরু কেটেকুটে দেওয়ার চুক্তিও নিয়েছেন তিনি।

ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে সিরাজ বলেন, ‘পোরতেক বছরই করি। এইবারও করুম। মোটামুটি চামড়া ছেলা, মাংস কাটা সবই পারি। দুই জাগায় দুইটা গরু নিছি। দুইডাই সকাল সকাল ধরুম। লোকও নিয়া নিছি।’

চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজ বলেন, ‘লাখে ১০ হাজার কইরা নিতাছি। গত বছরও এই দামেই করছি।’

কোরবানির দিন গরু কাটার কাজ করবেন লাল মিয়া। ঠিকভাবে কোনো কিছু না পারলেও চেষ্টা করবেন তিনি। সে হিসেবে কথা বলে একজনের সঙ্গে যুক্তও হয়ে গেছেন। তিনি জানান, দিন শেষে অন্তত হাজার টাকা। সঙ্গে দুই থেকে চার কেজি মাংস পেতে পারেন।

কারই/এমআর