images

জাতীয়

রাজধানীতে জমে উঠেছে গোখাদ্যের মৌসুমি ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ জুলাই ২০২২, ০৬:৩২ পিএম

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। নগরবাসীর কোরবানির পশু কেনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ উপলক্ষে জমে উঠেছে গোখাদ্যের বাজার। হাট-বাজার ছাড়াও অলিগলিতে গোখাদ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। যাদের প্রায় সবাই মৌসুমি ব্যবসায়ী। ক্রেতারাও নিজেদের কেনা পশুর জন্য নিচ্ছেন গোখাদ্য।

রাজধানীর গুলশান, বনানী, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গোখাদ্যের বাজারে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতারা আসছেন, ঘাসসহ বিভিন্ন গোখাদ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

বিক্রেতারা জানান, বেচাবিক্রি ভালো। পাইকারি দরে কেনা ঘাসসহ গোখাদ্যের এমন মৌসুমি ব্যবসায় লাভ বেশি।

শনিবার (৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর আফতাবনগর এলাকায় দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে গোখাদ্যের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। যেখানে ক্রেতাদেরও ভিড় লক্ষ করা গেছে।

বছরের অন্যান্য সময় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও কোরবানির আগে মাত্র দুই-এক দিনের পরিশ্রমে আয় বেশ ভালো, এজন্য গোখাদ্যের দোকান দিয়েছেন আফিসা বেগম। তিনি জানান, এ বছর গোখাদ্যের বিক্রি ভালো। সারা বছর জমানো ৪০ হাজার টাকা তিনি বিনিয়োগ করেছেন এই ব্যবসায়। কত লাভ হতে পারে জানতে চাইলে ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিক্রি ভালোই। এক চালান শেষ হয়েছে। চালান প্রতি ১২ থেকে ১৫ হাজার থাকবে।’

caw2

এছাড়া মিরপুরের অলি-গলিতে, স্থায়ী-অস্থায়ী বাজারগুলোতেও বসেছে গোখাদ্যের দোকান। মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তার উপর বসা এক বিক্রেতা জানান, অন্য সময় তিনি তরকারি বিক্রি করতেন। এখন গরু-ছাগলের খাদ্য বিক্রি করছেন। এখানে ছোট আকারের প্রতি গোছা খড় ২০ টাকা, প্রতি কেজি চালের ভুসি ২৫ টাকা, গমের ভুসি ১৫-২০ টাকা, খেসারির ভুসি ৪০ টাকা, বুটের ভুসি ৬০ টাকা এবং খৈল ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মোহাম্মদপুরে ভ্যানে এক গোখাদ্য বিক্রেতা বলেন, কাঁচা ঘাস বিক্রি একটু বেশি। ঘাসগুলো তিনি সংগ্রহ করেছেন বছিলা এলাকা থেকে। এসব ঘাস গোছাভেদে ২০-৩০ টাকায় পাইকারি। খুচরা এখন ৫০ টাকায়।

এছাড়াও রাজধানীর কলাবাগান, সেগুনবাগিচাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পশুখাদ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব দোকানে পশুখাদ্যের পাশাপাশি কোরবানির জন্য পাওয়া যাচ্ছে হোগলার চাঁটাই ও খাটিয়াও। প্রতি পিস চাঁটাই ১২০-১৫০ এবং খাটিয়া প্রতি পিস ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিএইচডি/জেবি