নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ জুলাই ২০২২, ০৩:১৯ পিএম
পশুর হাটের আশপাশের এলাকায় মশার উৎপাত বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় হাট শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিচ্ছন্নতার কাজ অবশ্যই শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরে আফতাবনগর পশুর হাট পরিদর্শন শেষে মেয়র আতিক বলেন, হাট চলাকালে মশার ওষুধ ছিটানো যাচ্ছে না। কারণ এতে পশুর ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে। হাটের কার্যক্রম শেষ হলে এই এলাকাগুলোতে মশা নিধনে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, 'মাস্ক আমার সুরক্ষা, এটি মানতে হবে সবাইকে। ডিএনসিসির প্রতিটি হাটে ১০০ জন করে মোট ১০০০ স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনাসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদ ও সহজ লেনদেন নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো ডিএনসিসির ছয়টি হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বুথগুলোতে কোনো চার্জ ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা লেনদেন করা যাবে। সাথে সাথে একটি ডেবিট কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে ঝুঁকি নিয়ে নগদ টাকা বহন করতে হবে না। হাটগুলোতে পশুর চিকিৎসার জন্য একটি করে মেডিকেল টিম রয়েছে।
মেয়র বলেন, আগামীকাল কোরবানির পর থেকেই আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা মাঠে থাকবেন, আমরা কন্ট্রোল রুম খুলেছি, আমাদের কমিটি আছে তারা সার্বিক বিষয় সার্বক্ষণিক তদারকি করবেন। আমরা আশা করছি এবং প্রস্তুতি নিয়েছি যেন ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে পারি। তবে এ বিষয়ে নগরবাসীকে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে কোরবানির বর্জ্য রাখার পলি ব্যাগ কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বিতরণ করেছি।
কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য ১০ হাজার কর্মী এবং ৬০০ বর্জ্যবাহী গাড়ি প্রস্তুত জানিয়ে মেয়র বলেন, আশা করছি ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা বর্জ্য অপসারণ করতে পারব।
মেয়র বলেন, 'ডিএনসিসিতে দশটি পশুর হাটেই বিপুলসংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। হাটের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা সবধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। হাটগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এসময় সবাইকে মাস্ক পরে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে প্রবেশ করার আহ্বান করেন তিনি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, 'ডিএনসিসির প্রতিটি হাটে মেডিকেল টিমের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পশুর চিকিৎসা প্রদান ও ওষুধ সামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।'
নগরভবনে একটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সবাই বর্জ্যসংক্রান্ত তথ্য জানাতে পারবে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কন্ট্রোল রুমের তিনটি ফোন নম্বর: ১৬১০৬, ০২-৫৫৫০৫২০৮৪, ০৯৬০-২২২২৩৩৩।
পশুর হাট পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ডিএইচডি/জেবি