images

জাতীয়

টয়োটা বাংলাদেশের এমডিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার প্রমাণ পেয়েছে পিবিআই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১১ পিএম

বাংলাদেশে টয়োটা ব্র্যান্ডের গাড়ি বিপণন নিয়ে দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী নাভানা লিমিটেডের সঙ্গে বিরোধের ঘটনায় টয়োটা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে নাভানা লিমিটেডের ব্যবসায়িক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করতে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

এ ঘটনায় সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদালত নম্বর-১০–এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন— ভারতীয় বংশোদ্ভূত মালয়েশীয় নাগরিক ও টয়োটা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রেমিত সিং, জাপানি নাগরিক টয়োটা টুশো এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট আকিও ওগাওয়া এবং টয়োটা টুশো কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার আসিফ রহমান।

পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাভানা লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরে টয়োটা টুশো কর্পোরেশনের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে টয়োটা ব্র্যান্ডের একক ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। তবে অভিযুক্তরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নাভানার বাজার পরিস্থিতি ও কর্মদক্ষতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, যা নাভানার সঙ্গে টয়োটার ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে।

তদন্তে আরও জানা যায়, গ্রাহকদের অর্ডার করা গাড়ির উৎপাদন ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করা হয় এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় ‘ম্যানুফ্যাকচারার ইনভয়েস’ সরবরাহ করা হয়নি। এর ফলে নাভানার আমদানি ও সরবরাহ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় এবং প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি কাস্টমস জটিলতা ও জরিমানার ঝুঁকিতে পড়ে।

পিবিআই মনে করছে, আসামিরা পরস্পরের সঙ্গে যোগসাজশে অভিন্ন উদ্দেশ্যে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুর রহমান এবং তদন্ত তদারকির দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা মেট্রো উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসে নাভানা লিমিটেড এই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত আগামী ৩০ ডিসেম্বর মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন। ওই দিন অভিযোগগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হবে কি না এবং আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম শুরু হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত।

এমআইকে/এফএ