নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০১ পিএম
শহীদ ওসমান হাদির কবর দেখতে ও জিয়ারত করতে এখনো ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের কবরস্থান এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি সংলগ্ন প্রবেশপথে সন্ধ্যার পর রাত নামলেও মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। কেউ বাইরে দাঁড়িয়ে দোয়া করছেন, কেউ কবর দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। আবার কেউ কেউ মোবাইলে ছবি তুলছেন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, কবরস্থানের সামনের অংশে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর বলয় খুলে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শাহবাগ থানা ও টিএসসি এলাকায় বসানো ব্যারিকেডও তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে এখনো পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
কবরস্থানে প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত মসজিদের গেট এবং বাইরের মূল গেটেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে কবরস্থানে পুলিশি প্রহরা অব্যাহত থাকবে। এ সময় ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেবল বাইরের অংশ থেকেই মানুষ দোয়া করতে পারছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, রাতে এখানে পুলিশি প্রহরা থাকবে। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামীকালও এ এলাকায় বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখা হতে পারে।
কবে নাগাদ কবরস্থানটি আবার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে—এ প্রশ্নে তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময় জানাতে পারেননি।
এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশে শরিফ ওসমান হাদিকে দাফন করা হয়।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ডাকসুর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ হাদির পরিবার-পরিজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা পড়ান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
এআর