নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে মেট্রোরেলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মেট্রোরেল স্টেশনে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে।
মিরপুর, আগারগাঁও, ফার্মগেট, শাহবাগ সংলগ্ন স্টেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে শিক্ষার্থী, তরুণ ও সাধারণ মানুষকে দলে দলে মেট্রোরেলে উঠতে দেখা যায়। অনেকের হাতে জাতীয় পতাকা, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ছিল। যাত্রীদের একটি বড় অংশ জানায়, তারা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিতব্য জানাজায় অংশ নিতে মেট্রোরেলে করে যাচ্ছেন।
সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই সঙ্গে সঙ্গে মেট্রোরেলের বগিগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হয়। অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে দেখা যায়। স্টেশনগুলোতে টিকিট কাউন্টার ও প্রবেশপথে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করে এবং যাত্রীদের শৃঙ্খলা বজায় রেখে চলাচলের অনুরোধ জানায়। এ ছাড়া মেট্রোতে উঠতে না পেরে বেশিরভাগ যাত্রী বাইরেই রয়ে যাচ্ছে। এতে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
মেট্রোরেলে ভ্রমণকারী একাধিক যাত্রী জানান, সড়কে যানজটের আশঙ্কা থাকায় তারা দ্রুত ও নিরাপদভাবে জানাজায় পৌঁছাতে মেট্রোরেলকেই বেছে নিয়েছেন। তারা জানান, সকাল থেকেই তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে মেট্রোরেলে উঠে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের কাছাকাছি স্টেশনে নামছেন।

মেট্রোরেলে ভ্রমণকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদ মাহমুদ বলেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য সকালেই রওনা হয়েছি। সড়কে যানজটের আশঙ্কা থাকায় মেট্রোরেলই সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম মনে হয়েছে। তবে এখানেও অনেক ভিড়।
মিরপুরের বাসিন্দা তানভীর হাসান নামের আরেক যাত্রী বলেন, সকাল থেকেই স্টেশনগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। আমরা সবাই শহীদ হাদিকে শেষ বিদায় জানাতে যাচ্ছি। তাই ভিড় থাকলেও সবাই ধৈর্য ধরে যাত্রা করছে।
জানাজাকে কেন্দ্র করে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিও লক্ষ করা গেছে। সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এএইচ/এফএ