নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
গুলিবিদ্ধ হওয়ার সাত দিন পর না ফেরার দেশে চলে যাওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দাফন করা হবে আজ। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে এই জুলাইযোদ্ধার দাফন ঘিরে নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্তা। নাশকতা রোধে শাহবাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা পর্যন্ত পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, শাহবাগের দুই পাশে পুলিশ অবস্থান করছে। যাতে ওসমান হাদির মরদেহের আসার আগে বা পরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
এদিকে বেলা শুরু হতে না হেতে শাহবাগে জড়ো হচ্ছেন জনগণ। এক পুলিশ সদস্য বলেন, ওসমান হাদির দাফনকে ঘিরে কেউ যাতে অন্যায় সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য আমরা প্রস্তুত। আমরা চাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকুক।
১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে রিকশাযোগে যাওয়ার সময় হাদিকে মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি অনুসরণ করে। এক পর্যায়ে তাকে বহনকারী অটোরিকশার কাছে গিয়ে তার মাথার কাছে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। পরে তারা পালিয়ে যায়।
গুরুতর অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একটি অপারেশন শেষে তাকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। এরপর আরো উন্নত চিকিৎসার সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসাপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি এই জুলাইযোদ্ধাকে। সবাইকে কাঁদিয়ে গত বৃহস্পতিবার না ফেরার দেশে চলে যান ওসমান হাদি।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হাদির মরদেহ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিমঘরে নেওয়া হয়।

সেখান থেকে আজ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নেওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নেওয়া হয়েছে জাতীয় সংসদ সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। সেখানে দুইটায় জানাজার পর মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর নজরুল ইসলামের পাশে দাফন করা হবে ওসমান হাদিকে।
এমএইচএইচ/এমআর