নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
রাজধানীর ধানমন্ডিতে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ভবনে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এরপর শুক্রবার ভোর থেকে ছায়ানটের সামনে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে।
হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন তলায় থাকা বাদ্যযন্ত্র ও শিল্প কর্ম। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন কক্ষে থাকা কাগজপত্র ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে আছে। লুটপাট করা হয়েছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে এবং হেলমেট পরে আসা হামলাকারীরা ভবনের বিভিন্ন তলায় ভাঙচুর শেষে চলে যাবার সময় ভবনের সামনে ফাঁকা জায়গায় আগুন দেয়। তবে আগুনে ভবনের ভেতরে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে সরেজমিন ছায়ানট ঘুরে দেখা যায়, ছায়ানটের সামনে অগ্নিসংযোগের চিহ্ন দৃশ্যমান। ভেতরে ঢুকতেই দেখা যায় বিভিন্ন সরঞ্জাম ও বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করে রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় অফিস কক্ষ, ক্যান্টিন ও অডিটোরিয়াম ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়াও তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ভাঙচুর করা হয়েছে। বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুরের চিহ্ন রয়ে গেছে। পাশাপাশি, পঞ্চম তলায় লাইব্রেরিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী বই দস্তাবেজ আগুনে পুড়ে গেছে। তবে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস চলে আসায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেল ভবনটি।
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ছায়ানটে এমন হামলার ঘটনা আমাদের কাছে একেবারে বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে আমরা নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। আমাদের কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখন বলা যাচ্ছে না। যথেষ্ট ভাঙচুর হয়েছে। এটা তদন্তের পর বলা যাবে। আর্থিক ক্ষতি কেমন হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। তবে নথিগত কিছু দুষ্প্রাপ্য বই ও কাগজপত্র আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ছায়ানটের নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খলিলুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা আজ শুক্রবার সকাল থেকে এখানে দায়িত্বে আছি।
একেএস/ক.ম