উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন: কপাল পুড়ল সচিবালয়ের ১৪ কর্মচারির

সচিবালয়ে দায়িত্ব পালন করা কর্মচারীদের জন্য বিশেষ ভাতার দাবিতে আন্দোলনের পরে মামলায় গ্রেফতার হওয়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ১৪ কর্মচারীর বিষয়ে প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গত ১০ ডিসেম্বর সচিবালয়ে ভাতার দাবিতে প্রায় ছয় ঘণ্টা সচিবালয়ের দফতরে অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মচারীরা। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের নেতৃত্বে মূলত এ আন্দোলন হয়।

বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ১৪ কর্মচারীর বিষয়ে প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এদিকে প্রথম দিন আন্দোলনের পর পুলিশ পাহারায় সচিবালয় ছাড়েন অর্থ উপদেষ্টা। পরদিন ফের আন্দোলনে নামলে নেতৃত্ব দেওয়া কর্মচারীদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাদের ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়। তাদের রিমান্ডেও পাঠিয়েছিলেন আদালত।

বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীদের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির, সহ-সভাপতি শাহীন গোলাম রাব্বানী ও নজরুল ইসলাম রয়েছেন।

বরখাস্ত হওয়া অন্য কর্মচারীরা হলেন—স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রোমান গাজী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক আবু বেলাল, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. তায়েফুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক বিপুল রানা বিপ্লব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক মো. আলিমুজ্জামান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র রায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী ইসলামুল হক ও মো. মহসিন আলী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক ও সংযুক্ত পরিষদের প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান সুমন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস সহায়ক নাসিরুল হক।

বিইউ/ক.ম