ভোট পর্যবেক্ষণে ২০০ জনের মতো পর্যবেক্ষক পাঠাবে ইইউ 

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যবেক্ষণ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৭৫ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। 

ইসি সচিব বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স এবং ইলেকশন কমিশনের ভেতরে একটা চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে এবং তার আলোকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আমাদের কাছে নির্বাচনে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য একটা ডেলিগেশন টিম পাঠাবে। 

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ডেলিগেশনের শুধু লিডার অব দ্যা ডেলিগেশনের নামটা পেয়েছি। বাকি যেগুলো আছে, তা ওনারা পরবর্তীতে জানাবেন বলেছেন। শুধু লিডারের কথাটা আমরা জানতে পেরেছি।

সচি সচিব বলেন, ‘আমাকে যেটা ধারণা দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে ওভার দ্য পিরিয়ড অব টাইম ১৭৫ থেকে ২০০ জনের মতো পর্যবেক্ষক আসবেন। এখন কে আগে আসবেন, তাদের সংখ্যা কত, তারা কী কী দেখবেন, তাদের সঙ্গে পরবর্তীতে কেউ জয়েন করবেন কি না- এ সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবনা এখনো পর্যন্ত জানি না। ওনাদের সঙ্গে যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে, সেই চুক্তির আওতায় তাদেরকে আমরা এখানে ফ্যাসিলিটিজ প্রোভাইড করব। তাদের যাতায়াত এবং তাদের চলাফেরা ইত্যাদি।’ 

তিনি জানান, ‘আমরা ইইউকে শুধু একটা জিনিসই অনুরোধ করেছি। সেটা হচ্ছে, লোকাল প্রোটোকল কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানতে হয়। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে লোকাল প্রোটোকল মানতে হবে। তার মানে ওনারা ইউজুয়ালি মুভ করেন ইন পেয়ারস। সেটা করবেন, কিন্তু আমরা বলেছি, লোকাল প্রোটোকল যদি প্রয়োজনীয় হয়, তাহলে সে অনুযায়ী করতে হবে।’

ইসি সচিব বলেন, ওনারা ওনাদের কিছু ইকুইপমেন্ট এক্সেসরিজ এখানে নিয়ে আসবেন, সেগুলো ফেরত নিয়ে যাবেন- সেরকম একটা ডিক্লারেশন হয়তো আসার সময় উনারা দিয়ে যাবেন। অথবা আমাদেরকে দিয়ে যাবেন। এটা এরেঞ্জমেন্ট। আমাদের যে লোকাল অবজারভেশন নীতিমালা ও ফরেন অবজারভেশন নীতিমালা, সেগুলো ওনারা মানবেন। সেটা সম্পর্কে ওনাদের এগ্রিমেন্টে এই প্রভিশনগুলো আছে।’ 

কোন খাতে কত খরচ হবে- তা এখনো জানা নেই উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, ‘কোন খাতে কত খরচ, কতগুলো গাড়ি দিতে হবে বা হবে না- এই সম্পর্কে তো এখনো পর্যন্ত কোনো কিছু নাই। আমরা একটা অনুরোধ করেছি, আপনাদের ডেলিগেশন আসেন।’

এমএইচএইচ/এএইচ