নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো আলোচনা হয়নি। প্রয়োজনে আচরণবিধি সংশোধন করার কথা বলেন ইসি সচিব।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরের সামনে সাংবাদিকদের এসব বলেন আখতার আহমেদ।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীরা ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইলে অনুমতি দেওয়া হবে। যারা অস্ত্র জমা দিয়েছেন তাদের অস্ত্রও ফেরত দেওয়া হবে। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিমালাও জারি করা হয়।
অস্ত্রের লাইসেন্স বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, নিরাপত্তার সব ক্ষেত্রে একটা গ্রহণযোগ্য কথা। ওনারা এটা ভালো মনে করেছেন এবং এখানে তো আমরা সবাই নিশ্চয়ই একমত যে নিরাপত্তার বিষয়টা প্রাধান্য পাক। দ্বিতীয় জিনিসটা হচ্ছে এর সাথে আচরণবিধির আপাতত কোনো বিরোধ দেখছি না। যদি মনে করা হয় ওভার দ্যা পিরিয়ড অফ টাইম আচরণবিধির কোনো জায়গার সামান্য সংশোধন বা সংযোজন বা বিয়োজন বা এডজাস্টমেন্ট লাগবে, এটা করবো আমরা।
আখতার আহমেদ বলেন, সবকিছুর এখতিয়ার হলেও উনি নিশ্চয় কোনো একটা প্রেক্ষাপটে এটা করেছেন, আমার সঙ্গে যেহেতু ওনার (স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা) এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়নি বা ওনাদের থেকেও আসেনি কাজেই আমি এর ব্যাখ্যাটা দিতে গেলে অপব্যাখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আগে বৈধ অস্ত্র জমা দিতে হয়, সেখানে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী- জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, এটা তো সময়ের ব্যাপার, এটা কী করা হবে, না হবে এগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আসবে। বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিষয়টা যখন প্রাসঙ্গিক হবে তখন যদি মনে করা হয় যে এই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টা বিবেচনায় নেবেন সেই অনুযায়ী এটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়েরের শেষ তারিখ ১১ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১২ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, রিটার্নিং কর্মকর্তা দ্বারা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচার চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে টানা বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
এমএইচএইচ/ক.ম/