নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশ বেতারের এক কর্মকর্তার কাছে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার ভবনের মূল গেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন মো. শবনম শাহিন (৩২) ও মো. শহিদুল ইসলাম (২৬)। মো. শাহিন নিজেকে দৈনিক বার্তা পত্রিকার চিফ ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয় দেন। তিনি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানার শ্যামগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। অপরদিকে, ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার ঝিটকা গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল নিজেকে ডেইলি মর্নিং গ্লোরির সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় বাংলাদেশ বেতারের পক্ষ থেকে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারদের কাছ থেকে সাংবাদিক পরিচয়পত্র, দুটি মোবাইল ফোন এবং একটি ওয়াকিটকি সেট জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বেতার সূত্রে জানা যায়, গত নয় ডিসেম্বর বিকেলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতারের উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক ও মহাপরিচালকের স্টাফ অফিসার মো. মাহমুদুন নবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন মো. শাহিন। তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জানান, সংবাদ প্রকাশের আগে আলোচনায় বসতে চান।
এরই ধারাবাহিকতায় ১১ ডিসেম্বর বিকেলে দুজন বাংলাদেশ বেতার ভবনে এসে আলোচনায় বসেন। তবে আলোচনায় উত্থাপিত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট প্রমাণিত হয়। পরে একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মো. মাহমুদুন নবীর হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে মো. শাহিন ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে হয়রানির হুমকি দেওয়া হয়।
বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় কৌশলে কথোপকথন রেকর্ড করে নিরাপত্তাকর্মীদের অবহিত করা হয়। পরে কর্তব্যরত পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় বাংলাদেশ বেতার ভবনের মূল গেট এলাকা থেকে কথিত দুই সাংবাদিককে আটক করা হয়।
বাংলাদেশ বেতার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একটি অসাধু চক্র কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও প্রশাসনিক বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে।
ক.ম/