images

জাতীয়

‘দেশকে অস্থিতিশীল করতে পাশের দেশ থেকে ৮০ জন আততায়ীর অনুপ্রবেশ’ 

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম

‎‘আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা গত কয়েক মাসে অন্তত ৮০ জন সুব্রত বাইনের মতো আততায়ীকে বাংলাদেশের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে। এসব আততায়ী বিভিন্ন প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নেতা, এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের টার্গেট করে হত্যা ও সহিংসতা ঘটানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।’
 
‎শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে আহত করার পর এক ফেইসবুক পোস্টে প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের এমন তথ্য প্রকাশ করেন।
 
জুলকারনাইন সায়ের জানান, আন্ডারওয়ার্ল্ড, কুষ্টিয়া মেহেরপুর অঞ্চলের চরমপন্থি গ্রুপ এক হয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নেতা, এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের টার্গেট করে হত্যা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।
 
‎পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যিনি সুব্রত বাইনের হ্যান্ডলার ছিলেন, জামিনে থাকা পিচ্চি হেলাল ও চরমপন্থি গ্রুপ গণমুক্তি ফৌজের প্রধান মুকুল সম্প্রতি টেলিফোনে কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে।
 
‎সুব্রত বায়েন কারাগার থেকে তার মেয়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে কনফারেন্স করে পিচ্চি হেলাল ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পলাতক মুকুলের সাথে কথা বলেছে। পরবর্তীতে সুব্রত বায়েনের মেয়ে সিনথিয়া বিতু নেপালে পলাতক বিডিআর মামলার পলাতক আসামি লেদার লিটন, পিচ্চি হেলাল, মুকুল, বাড্ডার বড় সাঈদ ও দিপুর সাথে কথা বলিয়ে দেয়। নির্বাচন বানচাল এবং দেশকে চরম অস্থিতিশীল করতে বিশেষ গোষ্ঠী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবে। একতাবদ্ধ থেকে এদের মোকাবেলা করাই একমাত্র উপায়।
 
‎ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।
 
‎একেএস/ক.ম