বনানীর স্পা সেন্টারে অভিযান, পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে আটক ৬

‎রাজধানীর বনানীতে স্পা সেন্টারের আড়ালে মানবপাচার ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে ৬ সদস্যের একটি চক্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।  এ সময় ৭ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীসহ ১২ নারীকে উদ্ধার করা হয়।

‎‎বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

‎‎গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. জাহাঙ্গীর আলম,  মো. রাকিবুল ইসলাম, গোলাম মোর্শেদ ওরফে সৌমিক, মো. রাব্বি ইব্রাহীম, জহিরুল ও শ্যামল কুমার।

‎‎জসীম উদ্দিন জানান, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বনানীর একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে 'রিলাক জোন বিউটি পার্লার এন্ড সেলুন' নামে একটি স্পা সেন্টারের আড়ালে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে মানবপাচার ও জোরপূর্বক পতিতা ভিত্তি কাজ করছিলো। ফ্ল্যাটের কয়েকটি কক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসা অল্পবয়স্কদের জড়ো করে রাখা হতো।

‎ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে এই কর্মকর্তা আরও জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় উঠতি বয়সী কিশোরীদের উচ্চ বেতনের চাকরি, নিরাপদ কাজ, বিউটি পার্লারে প্রশিক্ষণ, থাকার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন  লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে তাদের ঢাকায় আনা হয়। পরে ভয়ভীতি, চাপ ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোরপূর্বক যৌনকর্মে বাধ্য করা হতো।

‎সিআইডি আরও জানায়, ভবনের মালিক পলাতক দেলোয়ার হোসেন ফ্ল্যাটটি অবৈধ কাজে ব্যবহৃত হবে জেনেও ভাড়া দিয়েছিলেন বলে প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। এই ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে বনানী থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা  করেছে।

‎‎দেশবাসীকে এ ধরনের চক্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছে সিআইডি। সংস্থাটি বলছে, এ ধরনের মানবপাচারকারী চক্র সাধারণত দরিদ্র ও প্রান্তিক পরিবারের নারীদের সহজ টার্গেট করে। তাই সন্দেহজনক প্রলোভন, চাকরির অফার বা অচেনা লোকের মাধ্যমে শহরে আনার প্রস্তাব পেলে পরিবারকে সচেতন থাকার অনুরোধ থাকতে হবে।

‎‎একই মামলায় এ ছাড়া স্পা সেন্টারের মালিক মো. মোবারক আলী ওরফে সবুজ এবং ভবনের মালিক মো. দেলোয়ার হোসেনকেও মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

‎‎একেএস/এআর