নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম
মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ড. নাবিলা ইদ্রিসকে এবার ‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫’ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রোকেয়া দিবস পালন উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার হাতে রোকেয়া পদক তুলে দেন।
নারীশিক্ষা, নারী অধিকার, মানবাধিকার ও নারী জাগরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবার চার নারীকে ‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫’ দেওয়া হয়েছে।
ড. নাবিলা ইদ্রিস গুম কমিশনের সাহসী সদস্য ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গবেষক ও নীতিবিশ্লেষক।
তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ওপেন ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং ফেলো হিসেবে কর্মরত, যেখানে তিনি গ্লোবাল সোশ্যাল প্রটেকশন ফান্ড নিয়ে গবেষণা করছেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BIGD)-এর খণ্ডকালীন গবেষক হিসেবে কাজ করছেন।
ড. ইদ্রিস কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের US State Department IVLP প্রোগ্রামের প্রাক্তন ফেলো। চীন, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে তার গবেষণা ও নীতি প্রণয়নে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তার গবেষণার মূল ক্ষেত্র হলো বাংলাদেশে নীতি নির্ধারণের রাজনৈতিক বাস্তবতা, ক্ষমতার কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা।
‘গুম অনুসন্ধান কমিশন’ ইতোমধ্যে দুটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং একটি তথ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি) প্রকাশ করেছে। যেখানে বলপূর্বক গুমের পদ্ধতি, দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা এবং নিখোঁজদের সম্ভাব্য পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম হওয়া শত শত ব্যক্তির বিষয়ে সত্য উদঘাটন এবং দায়ীদের চিহ্নিত করতে গুম কমিশন গঠিত হয়। এই কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন ড. নাবিলা ইদ্রিস।
তার গবেষণার মূল ক্ষেত্র হলো বাংলাদেশে নীতি নির্ধারণের রাজনৈতিক বাস্তবতা, ক্ষমতার কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা।
এফএ