জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৭ জুলাই ২০২২, ০১:২৬ পিএম
এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অন্যান্য বছরের মতো এবারও সদরঘাটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ঘাটের সার্বিক নিরাপত্তায় গোটা এলাকায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। ঘাটের নীচতলায় কন্ট্রোল রুম থেকে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা দেখছেন পুরো এলাকার সার্বিক চিত্র।
কোথাও কোনো ধরণের জটলা, অযাচিত লোকজনের চলাচল, সন্দেহজনক আচারণ নজরে এলে তাও তদারকি করা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম থেকে।
যদিও অন্যবছরের তুলনায় এবারে সদরঘাটের চিত্র বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ভিন্ন রয়েছে। আগের মতো মানুষের ভীড় নেই।

তবে দুপুরের পর থেকে মানুষের চাপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার-শনিবার এই চাপ আরও বেড়ে যাবে। তাই ঘাটে আসা যাত্রীদের স্বস্তি দিতে পুলিশের পাশাপাশি নৌ পুলিশ, র্যাব সদস্য, আনসার সদস্যরাও কাজ করছেন।
এছাড়া ঘাটে প্রবেশের সময় কোনো প্রয়োজনে স্কাউটের সদস্যরাও কাজ করছেন।
তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় যাত্রী চাপ কম থাকার কারণে অন্য সময়ের তুলনায় এবার ঘাট এবং আশপাশের এলাকা ঘিরে ঈদের প্রস্তুতিতে কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা গেছে।
সদরঘাটের পুলিশ কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদে ঘাটের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের ৫ জন এসআই ও এএসআই, ৩০ জন পুরুষ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োজিত আছেন। এছাড়াও ৫ জন নারী পুলিশ কনস্টেবলও টিমে আছেন।
এর বাইরেও কোতোয়ালি থানার মোবাইল টিম, পিকেট ডিউটির সদস্যরা, সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা ও সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘাট এলাকায় কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত বংশাল থানার পরিদর্শক (পেট্রোল) আল আমিন ঢাকা মেইলকে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঈদযাত্রা যাতে নির্বিঘ্নে হয় সেজন্য সিনিয়র স্যারদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো আছে। যাত্রী চাপ বাড়লেও যাতে পরিস্থিতি ভালো রাখা যায় সেজন্য আমরা সচেষ্ট আছি। ঘাটের ভেতরে বাইরে সবকিছু সিসিটিভিতে কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।
এদিকে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সদরঘাটে। যাতে ঘরমুখো মানুষের যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্যে যেতে পারেন।
একইসঙ্গে নদী পথে সদরঘাটের আশপাশের এলাকা দিয়ে কোরবানির গরু। যাতে নির্বিঘ্নে যেতে পারে সেজন্য নৌ পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
সদরঘাটের নৌ থানার পাশাপাশি নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুমও করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা তিন ভাগে ভাগ হয়ে পুরো ঘাট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদেরও ঘাটে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে করে অগ্নিকাণ্ড বা অন্য কোনো দুর্ঘটনায় দ্রুত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
বিইউ/এএস