নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্যে বিডিআরসহ বাহিনীগুলো দুর্বল করে শেখ হাসিনার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করাই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য— এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আ.ল.ম ফজলুর রহমান।
রোববার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সাইন্সল্যাবরেটির বিআরআইসিএম-এর ৭ম তলায় জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২৮০ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্টে আমরা ২৪৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছি। এদের মধ্যে শহীদ পরিবারের সদস্যদের জবাননবন্দী ১৪ জন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ১০ জন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ২ জন,সামরিক কর্মকর্তা ১৩০ জন,অসামরিক কর্মকর্তা ৪ জন, পুলিশ কর্মকর্তা ২২ জন বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ ৯ জন, সাবেক ও বর্তমান বিডিআর /বিজিপি সদস্য ২২ জন, কারাগারে আছেন ২৬ জন ও সাংবাদিক ৩ জন।
তদন্তে ৬০০ ঘণ্টা ভিডিও-অডিও রেকর্ড পর্যালোচনা করেছে কমিশন
বিডিআর বিদ্রোহের তদন্তে মোট ৬০০ ঘণ্টা ভিডিও রেকর্ডিং, ভিডিও রেকর্ডিং রিভিউ ও অডিও ট্রান্সক্রিপশন সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে ৮০০ টি স্থিরচিত্র ও ছবি নিয়ে বিডিআর বিদ্রোহ হত্যাকান্ডের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে কমিশন। আজ সন্ধ্যায় জানালেন, জাতীয় স্বাধীন কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা তদন্তের জন্য বিভিন্ন খবরের কাগজে প্রচারিত সংবাদ নিয়েছি ২১৫টি, সরকারি ও বেসরকারি মোট ২৭টি প্রতিষ্ঠানের সাথে পত্রাআলাপ করা হয়েছে। পত্রাআলাপের মধ্যে ৯০৫টি এবং প্রতিমাসে ৮১টি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ৬টি তদন্ত আদালতের প্রতিবেদন সেনাবাহিনীকে ফেরত দেয়া হয়েছে। জাতীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেরত দেওয়া হয়েছে। তৎকালীন বিডিআর পরিচালিত ৫২টি তদন্ত প্রতিবেদন বিজিবিতে ফেরত দেওয়া হয়েছে। ওয়েবসাইট/ ইমেইল /জবানবন্দি ভিডিও ক্লিপ এর মাধ্যমে ৩১৬টি বিভিন্ন তথ্য আমরা পর্যালোচনা করেছি।
তিনি আরও বলেন, আজ সন্ধ্যায় আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। ১১ মাস পর আমরা এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমরা তদন্তের জন্য শতশত চিঠি লিখেছি বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থার কাছে। সেসব কোম্পানীর কাছে আমরা চিঠি দিয়েও কোনো সহায়তা পাইনি। আমরা মোবাইল কোম্পানিগুলোকে চিঠি দেওয়ার কয়েকমাস পর তারা রিপ্লাই দিয়ে বলেছে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
একেএস/এআর