নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরা নিউমার্কেটের পাশের ভবন হেলে পড়েনি। বরং এই ভবনের নকশায় এমন বলে জানিয়েছে রিউমার স্ক্যানার।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভব করেছে দেশের মানুষ। এটির পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। এসব বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) মাত্রা দেখাচ্ছে ৫ দশমিক ৫। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদীতে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেন, বাংলাদেশে এমন ভূমিকম্প হওয়ারই কথা। রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলে সবকিছু ভেঙে পড়ার আশঙ্কা আছে। বাংলাদেশ বা এই ভূখণ্ডে বড় ভূমিকম্পের মধ্যে আছে ১৭৬২ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৫। এটি ‘গ্রেট আরাকান আর্থকোয়েক’ নামে পরিচিত। এর ফলে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, ফেনী, এমনকি কুমিল্লা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরপর ১৮৯৭ সালে আসামে সংঘটিত ভূমিকম্প ছিল ৮ দশমিক ৭ মাত্রার।
১৯১৮ সালে সিলেটের বালিসিরা উপত্যকায় ৭ দশমিক ৬ মাত্রায় এবং ১৯৩০ সালে আসামের ধুবড়িতে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।
এএসএল/এআর