জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৮ পিএম
রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বেশ শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়েছে কম্পন। আতঙ্কিত হয়ে ঘরের বাইরে চলে যেতে হয়েছে নগরবাসীকে। কম্পনের ফলে আতঙ্কে হল থেকে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বড় অংশ দাঁড়িয়ে আছে পলিমাটির ওপর। ঢাকার ভেতরে আবার লাল মাটি আছে, যা খুব ‘কম্প্যাক্টেড রেড ক্লে’। এসব কারণে ঢাকায় ভূমিকম্পে কম্পন বেশি অনুভূত হয়।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর কেন্দ্রস্থল নরসিংদীর মাধবদী।
ভূমিকম্পের ঘটনায় রাজধানীর বেশ কিছু বহুতল ভবন হেলেপড়াসহ ভবন ধসে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে ঢাকার বাইরে অনেক এলাকার লোকজন খুব একটা টের পাননি বলেও জানিয়েছেন।
ঢাকায় ঝাঁকুনি বেশি অনুভত হওয়ার কারণ কী- এমন প্রশ্নের জবাবে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ হুমায়ুন আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাকার বড় অংশ পলিমাটির ওপর দাঁড়িয়ে। ঢাকার ভেতরে আবার লাল মাটি আছে, যেটা খুব ‘কম্প্যাক্টেড রেড ক্লে’। আবার কিছু ডোবা আছে, যেগুলো ভরাট করে বসত বা কোনো নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে পলিমাটি, সেখানে একটু ঝাঁকুনি লাগবে বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার একটু বাইরে যেমন বাসাবো বা রায়েরবাজার, ওখানে লাল মাটি নেই, সেখানে পুরোটাই পলিমাটি। এসব এলাকায় ঝাঁকুনি বেশি লাগার আশঙ্কা থাকে। সাভার বা ঢাকার মিরপুর লাল মাটির অঞ্চল। এসব এলাকায় ঝাঁকুনি কম অনুভূত হওয়ার কথা। ঢাকার একটি বড় অংশজুড়ে ডোবা এলাকা ভরাট করে বসতবাড়ি করা হয়েছে। সেসব অঞ্চলেও ভূমিকম্প বেশি অনুভূত হয়।’
বিইউ/এফএ