জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় ঘোষণাকে ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে যেসব অগ্নিকাণ্ড ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে, এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
রোববার (১৬ নভেম্বর) মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘বর্তমানে যেই অগ্নিসন্ত্রাস, ককটেল বিস্ফোরণ করিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে, তার জনক একজনই।’
সোহেল তাজের ওই পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল। যদিও তিনি কাকে অগ্নিসন্ত্রাসের জনক বলেছেন, তা স্পষ্ট করেননি। তবে নেটিজেনদের বুঝতে বাকি নেই যে, তার অভিযোগের তির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকেই রয়েছে।
এ কথা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে সোহেল তাজের পোস্টের পরবর্তী বক্তব্য পড়লে।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টুর ‘আমার ফাঁসি চাই’ আর ‘অন্তরালের হত্যাকারী প্রধানমন্ত্রী’ বই দুটি পড়লেই অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। ইউটিউবে এ অডিও বুক আকারে ফ্রিতেও শুনতে পারবেন।’
এটা সবারই জানা যে, মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টু এই বই দুটি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার নানা কুর্কীতি তুলে ধরেই লিখেছিলেন। ফলে পোস্টের নিচে কমেন্ট বক্সে আওয়ামী সমর্থকদের রোষের মুখে পড়েছেন সোহেল তাজ।
যাহোক, পোস্টের পরবর্তী অংশে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘ক্ষমতার কী লোভ- ১ লাখ বেলুন নাকি বাসে আগুন।’
এরপর তিনি লিখেছেন, ‘গণহত্যা, গুম/খুন করে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার বিলুপ্ত করে, দুর্নীতি/লুটপাট করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে, সেই টাকার পাহাড়ে বসে এখন আবার অরাজগতা আর তাণ্ডব সৃষ্টি করছে, নির্বাচন বানচাল করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার লক্ষ্যে।’
সবশেষে সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘আমার আশ্চর্য লাগে যখন চিন্তা করি যে, এত কিছুর পরও এদেরকে আওয়ামী লীগের একটা অংশ কী করে সমর্থন করে। এর মানে একটাই- এরাই ছিল সুবিধাভোগী। আর এখন এটার পরিণতি হিসাবে খেসারত দেবে নিরীহ, নিরপরাধ নেতাকর্মীরা।’
প্রসঙ্গত, খানিক বাদেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও এর আশপাশের এলাকায় বসানো হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা। সতর্কাবস্থায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী।
বিইউ/এএইচ