images

জাতীয়

শান্ত প্রকৃতির ‘লালবাবু’র দাম ১৪ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ জুলাই ২০২২, ০৬:২২ পিএম

ষাড়টি দেখতে বেশ হৃষ্টপুষ্ট। শিং দুটো ছোট ছোট। লাল রঙের হওয়ায় গরুটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘লালবাবু’। ষাড় গরু হলেও চঞ্চল নয় লালবাবু, বেশ শান্ত স্বভাবের। এর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৪ লাখ টাকা। রাজধানীর উত্তরার বৃন্দাবন হাটে দেখা মিলেছে লালবাবুর।

হাটে ঘুরতে ঘুরতে চোখ অটকে যায় উৎসুক মানুষের ভিড় দেখে। ভিড় ঠেলে ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, লাল রঙের এই ষাড়টি ছোট-বড় সবাই দেখছেন আর মালিকের কাছে জানতে চাচ্ছেন দাম কত। প্রায় ৩০ জনের মতো মানুষ ঘিরে দেখলেও গরুটি বেশ শান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

ষাড়টির মালিক হায়দার আলী ঢাকা মেইলকে বলেন, ২০টি গরু এনেছি এই হাটে, আমার গরুগুলো বড় বড়। লালবাবুকে দেখিয়ে বলেন, এই গরুটির নাম লালবাবু। আমার এই লালবাবু খুবই শান্ত। কোনো গুতো দেয় না। গরুটি ছোটবেলায় লাল দেখে এই নামে ডাকতে শুরু করি। শান্ত স্বভাবের এই গরুটির দাম চাচ্ছি ১৪ লাখ টাকা। অনেকেই দাম বলেছেন আট বা নয় লাখ টাকা।

গরুর মালিক আরও বলেন, গরু লালন পালনে অনেক কষ্ট ও খরচ। আসলে দাম বেশি চাই না, খরচতো উঠতে হবে। ১৪ লাখই হয়তো পারবো না, তবে আমার সাধ্যের মধ্যে এলে বিক্রি করে দিবো। খুব বেশিও চাচ্ছি বিষয়টি এমন নয়।

উত্তরার বৃন্দাবন হাট ঘুরে দেখা যায়, সবাই গরুর পরিচর্যা করতে ব্যস্ত। আর একদল লোক ব্যস্ত গরু দেখতে। এরই মধ্যে হঠাৎ কালেভদ্রে বিক্রিও হয় এক-দুটি। তবে দেখার মানুষই বেশি। সোমবার (৪ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত হাটে প্রায় তিন হাজার গরু এসেছে। ঈদের সময় রাস্তায় প্রচুর যানজট থাকে বলে আগেই পশু নিয়ে এসেছেন বলে জানান বিক্রেতারা।

caw2

রংপুর থেকে হাটে আসা সোবাহান ঢাকা মেইলকে বলেন, গত রাতে এসেছি ২২টি গরু নিয়ে। হাটে এসে মনটা ভালো হয়ে গেছে। খোলামেলা হাট আর সকাল থেকেই মানুষ দেখতে আসছে। আমরা জানি বিক্রি শুরু হবে আরও দু তিন দিন পর। হাটে মানুষের আনাগোনা থাকলে উৎসাহ পাই।

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা ১২টি গরু নিয়ে আসা ব্যাপারি সালাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘দরদাম হইছে, একটি বেচছি। ১১টা আছে, এত আগে বিক্রি হবে বুঝিনি। পরে হাটে ঘুরে শুনলাম, এরকম দু'একটা বিক্রি হয়। গতকালও নাকি হয়েছে।’

এদিকে উত্তরার এই হাটে খাশির বাজারটিও বেশ জমজমাট দেখা গেছে। কেউ কেউ শতাধিক খাসি নিয়ে এসেছেন। ১২০টি খাসি নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে আসা সুলতান ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা তিনজন খাসি এনেছি। দুটো বিক্রি হয়েছে।

হাটের একটু পাশে অস্থায়ী খাবার দোকান গড়ে ওঠেছে। সেখানে অনেক ব্যাপারি বা ক্রেতারা গিয়ে কেনাকাটা করেন। হাটের নিরাপত্তার স্বার্থে ভেতরে কোনো দোকান দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন হাট ইজারাদার নুর হোসেন। হাট সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন আবহাওয়া এখন পর্যন্ত ভালো এবার হাটও বেশ জমজমাট হতে পারে।

বিক্রেতারা প্রত্যাশা করছেন, বাজারে সবধরনের জিনিসপত্রের দাম বেশি। গোখাদ্যও অনেক চড়া। সে হিসেবে অনেকেই গরুর মূল্য বেশি মনে করলেও কেন বেশি সেই কারণগুলো সবাই জানে। তাই এবারের কোরবানির বাজারে তার প্রভাব কিছুটা থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ডব্লিউএইচ/জেবি