তানভীর আহমেদ
০৩ জুলাই ২০২২, ১২:২০ পিএম
কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র এক সপ্তাহ। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানীর হাটগুলোতে ইতোমধ্যে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। গরু আসতে শুরু করলেও মূলত বেচা-কেনা শুরু হবে আরও দুই-তিন দিন পর। এ সময়ের মধ্যে খামারি-ব্যবসায়ীরা হাটের নির্দিষ্ট জায়গায় তাদের গরু সাজানোর কাজ সেরে নিচ্ছেন। গত দুই বছর করোনা ভাইরাসের কারণে গরুর হাটের স্বাভাবিক বেচাকেনায় কিছুটা ব্যাঘাত হলেও এবার তা পুষিয়ে নিতে চায় খামারিরা। তবে গো-খাদ্যে ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন খামারিরা।
রাজধানীর মেরাদিয়া গরুর হাটে রোববার (৩ জুলাই) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিয়ে আসা গরু খামারিরা ট্রাক থেকে নামিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে রাখছেন। অনেকে ঘুরে ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন আকারের গরু। কেউ দাম জানতে চাচ্ছেন। আবার বড় গরুগুলো ইনজেকশন দিয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে কিনা তারও খোঁজখবর নিচ্ছেন অনেকে। কিন্তু মাঝারি আকারের গরুর প্রতি বেশির ভাগ মানুষের নজর।
সরেজমিনে মেরাদিয়া পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, লাখের নিচে গরু নেই। ছোট বড় যে সাইজের গরুই হোক না কেনো দাম হাঁকাচ্ছেন লাখের উপরে। এই হাটে চুয়াডাঙ্গা থেকে ১৮টি গরু এনেছেন ব্যবসায়ী ইলিয়াস হোসেন। গতকাল রাতে চুয়াডাঙ্গা থেকে রওনা হয়ে আজ সকালে মেরাদিয়া হাটে পৌঁছান তিনি। ট্রাক থেকে হাটে গরু নামানোর পর পরিচর্যা করছিলেন তিনি। তার কাছে দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর গরু লালন-পালন করতে খরচ হয়েছে অনেক বেশি। গরুর খাবারের দাম গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় ডাবল। তাই দামও বেশি। বলতে গেলে লাখের নিচে কোনো গরুই পাওয়া যাবে না।
প্রতিদিন সকালের মতো আজও মর্নিং ওয়াকে বের হন কামাল উদ্দিন। এ সময় তিনি হাটে আসা বিভিন্ন গরু দেখছেন ও দাম জানতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, এবারে হাটে মাঝারি ও বড় গরু বেশি। তবে দামও অনেক বেশি চাচ্ছেন খামারিরা। আরও কয়েকদিন পর বোঝো যাবে প্রকৃত দাম।
টিএ/এএস