জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬ ঘণ্টার বেশি সময় বন্ধ থাকার পর শুরু হলো ফ্লাইট চলাচল।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৯টা ৬ মিনিটে দুবাই থেকে একটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক এসএম রাগিব সামাদ।
পরিচালক বলেন, আমরা আমাদের বিমানবন্দরের কার্যক্রম রাত ৯টা থেকে শুরু করেছি এবং রাত ৯টা ৬মিনিটে একটি ফ্লাইট নিরাপদে অবতরণ করেছে।

শনিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনসহ বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও বিমানবাহিনীর দুটি ফায়ার ইউনিট কাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট। এদিকে এই ঘটনায় সব রুটের ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
সরেজমিনে দেখা যায়, বনানীর কাকলি থেকে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কার্যালয় পর্যন্ত যানজট। সড়কের যাত্রীরা হেঁটে রওনা দিয়েছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন বিদেশগামীরা। নিজের ল্যাগেজ নিয়ে বিমানবন্দরে গেলেও দুটি গেইট বন্ধ থাকায় কেউ ভেতরে যেতে পারছেন না।
যানজটে আটকে পড়া যাত্রীরা জানাচ্ছেন, মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। এতে বিমানযাত্রী ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বিদেশগামী আব্দুল মতিন বলেন, আজ আমার ফ্লাইট আছে। যাব দুবাই। এরই মধ্যে শুনলাম এয়ারপোর্টে নাকি আগুন লাগছে। বিমান চলাচল স্থগিত থাকলেও আমাকে বিমানবন্দরে যেতে হবে। কারণ ঢাকায় থাকার মতো কোনো জায়গা নাই।

বাইক রাইডার রাকিব জানান, এয়ারপোর্টে যাবেন, কিন্তু যানজটের কারণে যেতে পারছেন না। আটকা পড়েছেন রাস্তায়। কতোক্ষণ এই পরিস্থিতিতে থাকতে হবে, কী করবেন তিনি বুঝতে পারছেন না।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৫ হাজার পুলিশ: আগুন লাগার ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরার উপকমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান ডিসি।

মহিদুল ইসলাম বলেন, যারা কার্ডধারী তাদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। তবে অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছে। এছাড়া উত্তরা বিভাগের ছয়টি থানার পুলিশ সদস্যদের যুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা কাজ করেন বলে জানান তিনি।
এমআইকে/ক.ম