জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজদের খোঁজ করতে তাদের স্বজনদের হাসপাতালের মর্গ এবং জরুরি বিভাগে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবকরা।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ঘটনাস্থলের পাশের সড়কে অবস্থানরত উৎসুক জনতা ও নিখোঁজদের স্বজনদের হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে এ অনুরোধ জানানো হয়।
মিরপুরের পোশাক কারখানা ও ‘কসমিক ফার্মা’ নামের কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
এই অবস্থায় নিখোঁজদের স্বজনরা কারখানাটির পাশের রাস্তায় এসে ভীড় করেছেন। অনেকে আহাজারিও করছেন। সেসব স্বজনদের অগ্নিকাণ্ড স্থলে ভিড় না জমিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ ও জরুরি বিভাগে খোঁজ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে ঘোষণার পরও অনেকে ঘটনাস্থলে ভিড় করছেন।
ফোন বাজলেও সানোয়ারের সাড়া নেই
গার্মেন্টস কারখানাটির তৃতীয় তলায় কাজ করতেন সানোয়ার হোসেন। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ।
সানোয়ারের ভাই রুহুল জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় তার ভাই কারখানাটিতে আগুনের খবর পান। এরপর ১২টা থেকে তার ফোনে কল করছেন। কিন্তু ছোট ভাইয়ের ফোন বাজলেও কেউ কলে সাড়া দিচ্ছে না। শুধু রুহুল নয়, ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন তার মতো আরও অনেকে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রথমে পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে, পরে আরও সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। বর্তমানে ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা দেখতে শতশত উৎসুক জনতা ভিড় কমেছে। তাদের সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা যৌথভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করছেন।
এদিকে সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা গার্মেন্টস কারখানাটির দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলা থেকে মোট ১৬টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। সেগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।
এমআইকে/এএইচ